আবোল তাবোল জীবনের গল্প [ অনমনীয়তা ]

in আমার বাংলা ব্লগ10 days ago

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি এবং সুস্থ আছি। প্রকৃতির সুন্দর সজীবতার সাথে হৃদয়ের সতেজতা ধরে রাখার চেষ্টা করছি। কারন হৃদয় সতেজ তো মানসিকতায় চঞ্চলতা থাকবে আর হৃদয় অস্থির তো মানসিকতায় ব্যকুলতা থাকবে, ফলশ্রুতিতে কোন কিছুই সঠিকভাবে সম্পন্ন করা অসম্ভব হয়ে যাবে। চঞ্চলতা যেমন আমাদের কাজের ক্ষেত্রে উৎসাহ যোগায় ঠিক তেমনি অস্থিরতা আমাদের কাজের ক্ষেত্রে সঠিক মানসিকতা নষ্ট করে দেয়। সুতরাং সুন্দর পরিবেশের সাথে থেকে হৃদয় ও মানসিকতা দুটোরই সুন্দর অবস্থান নিশ্চিত করার চেষ্টা করতে হবে আমাদের।

আর এই ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে প্রকৃতি এবং প্রকৃতির নির্মম সজীবতা। যদিও আমরা দিন দিন খুব বেশী কঠিন হয়ে যাচ্ছি, সহজ বিষয়গুলো আমাদের নিকট অনেক বেশী কঠিন মনে হয়, ঐ যে মানসিকতার পরিবর্তন এর কারনে। আমরা যখন স্বাভাবিক কোন বিষয়ে অতিক্তির এবং অস্বাভাবিক চিন্তা করি তখন কিন্তু আমাদের মানসিকতায় একটা পরিবর্তন আসতে শুরু করে, অস্থিরতা কাজ করতে থাকে, যার প্রভাবে আমরা সেই স্বাভাবিক বিয়ষটিকে অস্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করি এবং একটা ভুল সিদ্ধান্ত নেয়ার দিকে ধাবিত হতে থাকি, এটা কিন্তু বর্তমান সময়ের একদম বাস্তব একটা চিত্র, একটু খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন।

hike-8336525_1280.jpg

কিন্তু এর থেকে কি আমাদের মুক্তি নেই কিংবা ফিরে আসার উপায় নেই? অবশ্যই আছে তবে তার জন্য চাই সতেজ ভাবনা এবং সঠিক আগ্রহ। আগে আমাদের বুঝতে হবে আমরা সমস্যায় ডুবে যাচ্ছি, আমাদের মানসিকতায় ভিন্ন কিছু ঢুকে যাচ্ছে, যদি এটা বুঝতে অক্ষম হই তাহলে সেটা কোনভাবেই সম্ভব নয়। দেখুন আপনি অসুস্থ সেটা যখন স্বীকার করবেন তখনই প্রশ্ন আসবে ডাক্তার এর কাছে যাওয়ার কিন্তু আপনি যদি কখনো সেটা স্বীকারই না করেন তাহলে আপনি কেন ডাক্তার এর কাছে যাবেন? কেউ যদি আপনাকে ডাক্তার এর কাছে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তাহলেও আপনি যেতে চাইবেন না, কারন আপনি তো মানছেনই না যে আপনি অসুস্থ।

আশা করছি এখন বিষয়টি একদমই পরিস্কার, আমাকে আগে স্বীকার করতে হবে আমার সমস্যা আছে, তারপর সেটার সমাধানের সঠিক মাধ্যম খুঁজে বের করতে হবে এবং সে পথে হাঁটতে হবে। আমাদের সময় মানে যখন ছোট ছিলাম, তখন বড়রা যদি কোন বিষয়ে বলতেন যে তুমি ভুল এটা ভুল করছো, তখন কিন্তু আমরা তর্ক করতে যেতাম না এবং সেটাকে স্বীকার করে সঠিক বিষযটি কি সেটা জানতে চাইতাম। কিন্তু দেখুন তো এখন কাউকে কিছু বলে, ভুল স্বীকার তো করবে দূরের কথা বরং আপনার সাথে তর্ক জুড়ে দিবে এবং সেটা একটা সময় ঝগড়ার পর্যায়ে চলে যাবে, সমস্যার সূত্রপাত কিন্তু এখানেই। কেন জানি ভুল স্বীকার করতে আমাদের খুব বেশী কষ্ট হয়।

যাইহোক, আজকের আবোল তাবোর জীবনের গল্পে প্রকৃতি নিয়ে কিছু বলতে চেয়েছিলাম কিন্তু আবোল তাবোল বকতে বকতে সেটা কঠিন বাস্তবতায় চলে গেছে। কিন্তু কথাগুলোকে আপনি আমি কোনভাবেই অস্বীকার করতে পারবো না, সেই সুযোগও নেই। আমি আমার বাড়ির কথাই বলছি কোন ভুল হয়ে গেলেও আমার ছেলে সেটাকে স্বীকার করতে চায় না, তাহলে তাকে সঠিক বিষয়টি শেখাবো কিভাবে? আর প্রকৃতির সজীবতার কথা বললে সরাসরি বলে দেয় প্রকৃতির মাঝে কেন থাকতে হবে? বাড়িতে কি সমস্যা? ভালোর বিষয়টি যতক্ষন কেউ বুঝতে না পারবে ততোক্ষন পর্যন্ত আপনি তাকে সেদিকে ধাবিত করতে পারবেন না? কঠিন মানসিকতা হতে আমাদের ফিরে আসতে হবে, প্রকৃতির সজীবতায় হৃদয়কে সতেজ ও কোমল করতে হবে, তবেই যদি আমাদের দ্বারা কিছু হয়।

Image taken from Pixabay

ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah

break .png
Leader Banner-Final.pngbreak .png

আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।

break .png

Banner.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



Hi @hafizullah,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

 10 days ago 

ভাই আগেকার দিনে মানুষ বড়দের অনেক শ্রদ্ধা করত বড়রা যা বলত তাই মেনে নিত কিন্তু বর্তমানে ডিজটাল যুগে এসে সবাই যেন নিজেই মাতব্বর হয়ে গেছে। নিজে যেটা বুঝবে সেটাই সঠিক আর অন্যরা যেটা বলবে সেটা বেঠিক। আমার ৫ বছরের ছেলেকেও আমি কিছু বোঝাতে গেলে বলে আব্বু পাগল হয়ে গেছে। তাহলে তো বাইরের কথা বাদই দিলাম।

 10 days ago 

একদমই ঠিক বলেছেন, এখন সবাই নিজেই একেকজন পণ্ডিত, তাই কারো কথা শুনতে নারাজ। আমার ছেলের অবস্থাও অনেকটা তাই, সবাই ফেল তার কাছে।

 10 days ago 

আসলেই এখনকার মানুষজন নিজের ভুলটাকে একেবারেই স্বীকার করতে চায় না। তাছাড়া যেকোনো ব্যাপারে গঠনমূলক মন্তব্য শুনতেও নারাজ। মোটকথা তারা যেটা করবে, সেটা ভুল হলেও তাদেরকে সাপোর্ট দিতে হবে কিংবা তাদের সাথে একমত পোষণ করতে হবে। তাহলে তারা খুবই খুশি। কিন্তু এতে করে দিনশেষে যে তাদের ক্ষতি হচ্ছে অর্থাৎ আসল ব্যাপারটা শিখতে বা জানতে পারছে না,এতে করে তাদের কোনো আফসোস নেই। যাইহোক সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক সেই কামনা করছি। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।