ম্যাচ টাইড!

in আমার বাংলা ব্লগ6 days ago
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে একটি খেলা বিষয়ক সাধারণ লেখা শেয়ার করে নেবো। বর্তমানে এখন বেশিরভাগ টি২০ খেলা চলছে। আর সত্যি বলতে এখন কিন্তু ক্রিকেটে এই টি২০ ম্যাচটি খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আর এখন সবাই এইটাই দেখে থাকে, কারণ কম সময় আর আনন্দটাও বেশি পাওয়া যায়। কারণ এই ম্যাচে শুধু ৪/৬ এর খেলাই মূলত হয়ে থাকে। তবে এটা যদি শক্তিশালী টিমের মধ্যে হয়ে থাকে কোনো খেলা সেটা আরো জমজমাট হয়ে থাকে। এখন বর্তমানে ইংল্যান্ড আর অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে একটি টি২০ সিরিজ খেলা হচ্ছে যেটি ৩ টি সিরিজ নিয়েই গঠিত। অলরেডি দুটি খেলা হয়ে গিয়েছে। আর এই দুটি টিম এখন ক্রিকেটে ভালোই শক্তিশালী অবস্থানে আছে।

আগে কিন্তু একসময় ইংল্যান্ড এর টিম একটু দুর্বল থাকলেও বর্তমানে তাদের যে টিমটা, তাতে সব ফরম্যাটেই মোটামুটি একটা ভালো শক্ত অবস্থানে আছে। অস্ট্রেলিয়ার কথাটা আসলে বলতে গেলে আলাদা ধরতে হয় অন্যান্য টিমের থেকে, কারণ তাদের একটা বিষয় দেখেছি যে, তাদের কিন্তু অল টাইম একটা ভালো অবস্থান ধরে রাখে। আসলে এইগুলো কিন্তু অনেকটাই নির্ভর করে কোচের ট্রেইনিং এর উপর। প্লেয়ারদের মোটামুটি ঠিকঠাক যদি গাইড করতে পারে, তাহলে টিমটা সবসময় একটা মজবুত অবস্থানে থাকতে পারে। যাইহোক, প্রথম ম্যাচটা অস্ট্রেলিয়া জিতে গিয়েছিলো ঠিকই, কিন্তু দ্বিতীয়টাতে মোটামুটি বেশ ভালো একটা জমজমাট খেলা হয়েছিল।

ইংল্যান্ড ছেড়ে কথা বলেনি এই ম্যাচে। তবে স্কোর কিন্তু অনেক হাই লেভেলের ছিল তাদের। প্রায় ২০০ এর কাছাকাছি স্কোর করেছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে ইংল্যান্ড জবাবে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছিল এক কথায়। তাও আবার ১ ওভার হাতে থাকতে ম্যাচের সমতা ফিরিয়ে আনে। ইংল্যান্ড এর টি২০ তে সল্ট একজন দুর্দান্ত মারপিটো ব্যাটসম্যান। তবে মাঝে ধরা খেয়ে গিয়েছিলো ইংল্যান্ড, কারণ পরপর ২ জন ব্যাটসম্যান আউট হয়ে যাওয়ায় একটা চাপের সম্মুখীন হয়ে পড়েছিল। তবে লিভিংস্টোন এসে সেটা কভার করে ফেলে, আসলে এই ম্যাচটা জেতানোর পিছনে তার অবদান অনেক বলা যায়, কারণ একাই অর্ধেকের বেশি রান করে দিয়ে যায়। তবে আরেকটু টিকে থাকতে পারলে শতরান হয়তো করে উঠতে পারতো ।

কিন্তু মারতে গিয়ে বোল্ড আউট এর শিকার হয়, টি২০ তে আসলে এই একটা সমস্যা, আসলে এখানে ডিফেন্স বেশি খেলার সুযোগ নেই, মেরে খেলতেই হবে রান তুলতে গেলে, কারণ সময় কম পাওয়া যায় এতে। এই ম্যাচটি সম্পূর্ণ জিতেছে তিনজন ব্যাটসম্যানের উপর নির্ভর করে। তাছাড়া বাকিদের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। তবে ইংল্যান্ড এর এই ম্যাচটা জেতা খুবই জরুরি ছিল, কারণ এই ম্যাচ হারলে সিরিজের থেকে হাত ধুয়ে বসতো। একদিক থেকে ভালো হয়েছে কি যে, লাস্টের ম্যাচটা আরো বেশি জমজমাট হবে। কারণ এই ম্যাচে সিরিজের দিকে লক্ষ্য থাকবে দুই টিমেরই।

ইংল্যান্ড চাইবে ঘরের সিরিজ ঘরেই থাকুক আবার অস্ট্রেলিয়া চাইবে সিরিজ ছিনিয়ে নিয়ে যেতে। যদিও ম্যাক্সিমাম সময়ে দেখা যায় যে, যাদের মাঠেই খেলা হয় তারাই সিরিজ জয়ের সুযোগটা অর্জন করে থাকে। কিন্তু অপরপক্ষে দেখা যায় যে, অস্ট্রেলিয়া বাইরের দেশের থেকে সিরিজ ছিনিয়ে আনায় ওস্তাদ এক প্রকার। তবে দুই টিমই শক্তিশালী এক্ষেত্রে সেটা দুটি টি২০ সিরিজ দেখেই বোঝা গিয়েছে। লাস্ট ম্যাচটা এর থেকেও ভালো হওয়ার সম্ভাবনা আছে যদি পিচ কন্ডিশন বোলারদের পক্ষে না থাকে। একদিকে ৫০-৫০ থাকলে খেলাটা ভালো হয়, মানে একটা টানটান উত্তেজনা কাজ করে ম্যাচটাতে। যাইহোক, দেখা যাক সিরিজ কাদের ভাগ্যে আছে।


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png



Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 5 days ago 

আসলেই টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দেখার মজাই আলাদা। তবে ইন্ডিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি-টোয়েন্টি ম্যাচ গুলো দেখতে বেশি ভালো লাগে। কারণ এই দলগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকজন করে হার্ড হিটার রয়েছে। যাইহোক ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এতে করে ১-১ এ সিরিজ ড্র হলো। যাইহোক এই পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

 4 days ago 

ক্রিকেট খেলা যে কতদিন দেখি না তার ঠিক নেই। বলতে গেলে কোন খোঁজখবরও রাখি না। টি টুয়েন্টিতে একটা বল ডট খেলা একটা অপরাধ। অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল‍্যান্ড সবচাইতে শক্তিশালী দুই দল। এদের সিরিজ যে জমজমাট হবে সেটাই স্বাভাবিক। তবে সব বিবেচনায় অস্ট্রেলিয়া কিছুটা ফেভারিট সিরিজ জয়ের ক্ষেএে।