দৈনন্দিন জীবনের ঘটনা। পর্ব: ১১

আশাকরি " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আপনি আপনাদের সাথে গ্রাম্য জীবন সম্পর্কে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট করলাম।


image.png



লিংক

আসলে আজকে আমি আবারো আপনাদের মাঝে ফিরে এসেছি আমার দৈনন্দিন জীবনের কিছু ঘটনা নিয়ে। আসলে কিছু কিছু ঘটনা আমাদের জীবনে এমন ভাবে রয়ে যায় যা আমরা কখনো চেষ্টা করলে ভুলতে পারি না। আসলে আমার মত আপনাদের জীবনে এমন এমন কিছু ঘটনা ঘটে যায় যা আপনারাও কখনো ভুলে থাকতে পারেন না। আসলে আজকে আমি একটা অন্যরকম ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করব। তো বেশি কথা না বলে শুরু করা যাক। আসলে ছুটির দিনগুলোতে আমি চেষ্টা করি সংসারের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো কেনাকাটা করার জন্য। যেহেতু আমি বাকি দিনগুলোতে তেমন একটা বাজার করার সময় পাইনা তাই ছুটির দিনগুলোতে আমি প্রায়ই বাজারে যাই বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র কিনতে। আসলে সারা সপ্তাহ ভাবি যে ছুটির দিনগুলোতে একটু বেশি সকল অব্দি ঘুমাতে পারবো। কিন্তু তা আর কপালে জোটে না।


কেননা ছুটির আগের দিন গিন্নি বড় একটা লিস্ট আমার হাতে ধরিয়ে দেয়। হয়তোবা আমাদের পুরুষ মানুষের জীবনে তেমন একটা বিশ্রাম আমরা কখনোই নিতে পারি না। যাইহোক খুব সকাল সকাল গেলে আমরা বাজার থেকে একদম তাজা সবজি এবং জ্যান্ত মাছ কিনতে পারি। আর এজন্য খুব সকালে উঠে আমি দ্রুত বাজারের উদ্দেশ্যে বের হই। যেহেতু বাজারের অনেক ধরনের জিনিসপত্র কেনাকাটা করি তাই সঙ্গে আমার সাইকেলটি নিয়ে যাই। কেননা মোটরসাইকেল নিয়ে বাজার তেমন একটা করা যায় না। সাইকেলের দুই পাশে দুটো ব্যাগ ঝুলিয়ে আমি সকাল সকাল সবজি এবং মাছের বাজারটা শেষ করে ফেললাম। আসলে এই গরমের ভিতর বাজার করতে গেলে একদম পুরো স্নান হয়ে যেতে হয়। কেননা খুব সকাল থেকেই এত গরম পরে যে তার সহ্য করার মতো নয়।


যেহেতু সকালবেলাতে মুদিখানার দোকানগুলো খোলে না। তাই শুধুমাত্র এই সকালে সবজি এবং মাছ কেনাকাটা করি এবং বাড়ি এসছে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে পুনরায় যখন নয়টা বাজে তখন আবার সাইকেলটা নিয়ে মুদিখানার দোকানে বাজার করতে যাই। যেহেতু সকালবেলা প্রথম বাজার করে এসে আমি খুব ক্লান্ত হয়ে পড়ি এই গরমের মধ্যে। যাইহোক পুনরায় আবার নয়টার দিকে বেরিয়ে পড়লাম মুদিখানা বাজারের উদ্দেশ্যে। আসলে ছুটির দিনগুলোতে মুদিখানা দোকানে প্রচুর পরিমাণে ভিড় থাকে। তাই লোকজনকে দেখি যে তারা একটা বড় লিস্ট নিয়ে আসে এবং সেই লিস্ট দোকানদারকে দিলে তিনি সেই লিস্ট অনুযায়ী প্রতিটা দ্রব্য হিসাব করে ব্যাগের ভিতর রেখে দেন। যাইহোক আমিও একটা কাগজে করে লিখেন নিয়ে গেলাম যে যেসব জিনিস আমাদের প্রয়োজন।


আসলে প্রায় আধঘন্টা পর আমি মুদিখানা দোকানের সকল জিনিসগুলো কিনে ফেললাম। আসলে হঠাৎ করে কি একটা মনে হল তাই ব্যাগ খুলে আমি বিভিন্ন প্যাকেটের দাম দেখছিলাম এবং লিস্টের সাথে মিলিয়ে নিচ্ছিলাম। হঠাৎ করে আমার চোখের সামনে একটা অবাক করার মত বিষয় ধরা পরল। এক প্যাকেট জিরার গুড়াতে যে দাম রয়েছে তার থেকে দোকানদার বেশি দাম লিস্টে তুলে দিয়েছেন। এখন আমি তৎক্ষণাৎ বাকি জিনিসগুলো মিলিয়ে দেখলাম। আসলে শুধুমাত্র ওই জিরার গুড়োর প্যাকেটের দাম আমার কাছ থেকে উনি বেশি নিয়েছেন। তখন আমি ওনাকে জিজ্ঞাসা করাই তখন উনি বললেন যে জিরার দাম বেড়ে গেছে তাই আমরা বেশি দামে জিরা বিক্রি করছি। তখন আমি প্রতিবাদ করলাম যে প্যাকেটের গায়ে দাম যেটি লেখা রয়েছে আপনাকে সেটি নিতে হবে অতিরিক্ত আপনি একটি টাকাও পাবেন না। তৎক্ষণাৎ কয়েক জন লোক আমার পাশে এসে সেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করলেন এবং দোকানদারকে বললেন।


আসলে দোকানদার দাদা শুনতে রাজি হচ্ছিলেন না। তখন যখন আমি একটু কড়া গলায় বললাম যে আপনার প্যাকেট আপনি যে দামে কিনেছেন আপনাকে প্যাকেটের দামের অনুযায়ী সেই দাম আমার কাছ থেকে নিতে পারবেন এর থেকে আপনি একটা টাকা বেশিও নিতে পারবেন না। কেননা আপনি পুরনো জিরার প্যাকেট কিনেছিলেন এবং আপনাকে কম দামে সেই প্যাকেট গুলো দেয়া হয়েছিল। যেহেতু জিরার দাম বেড়েছে তাই প্যাকেটের গায়েও নতুন করে দাম লেখা থাকবে। যাইহোক আমার সাথে সাথে বাকি লোকগুলো প্রতিবাদ করাতে তখন উনি প্যাকেটের দাম অনুযায়ী দাম রেখে বাকি টাকা আমাকে ফেরত দিলেন। আসলে আমরা সবাই যদি ছোট ছোট বিষয়ে প্রতিবাদ করি তাহলে কিন্তু এসব দোকানদাররা আর কখনো কোন দ্রব্যমূল্যের দাম অতিরিক্ত হাড়ে নিতে পারবে না।



আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।


আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।