বেশ কিছুদিন হয়ে গেল সময় পায়না বলে তেমন খেলা দেখা হয় না হঠাৎ করে দেখি আজকে খেলা হচ্ছে তাই বসে পড়লাম খেলা দেখার জন্য। এসি মিলান এবং লিভারপুল এর মধ্যে খেলাটির সংঘটিত হয়েছিল। যেহেতু দুইটা দল ভালো তাই মনে হয়েছিল খেলাটি দেখে বেশ মজা পাবো। ফুটবল খেলা সবার কাছেই বেশ জনপ্রিয় তাই সবাই খেলাটি দেখে আগ্রহের সাথে। লিভার পুড়ে বেশ ভালো ভালো কিছু প্লেয়ার রয়েছে যাদের খেলা দেখতে ভালো লাগে এবং সেসব ডিলার গুলো আমার বেশ প্রিয়। তাই চিন্তাধারা বাদ দেখে খেলাটি দেখার জন্য বসে পড়লাম।

খেলা শুরুতেই এসি মিলানের চমক। অর্থাৎ খেলার কিছু কয়েক মিনিট হতেই না হতে এসে মিলান গোল করে ফেলে। যদিও তারা এক গোলে এগিয়ে যায় কিন্তু একটা বিষয় আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে সেটা হল লিভারপুলের অধিনায়ক হাততালি দিয়েছিল এবং সবাইকে আরো বেশি উৎসাহিত করেছিল অর্থাৎ তার মনের যে ভাবনা চিন্তা ছিল সেটা হল আমরা খুব সহজেই এখান থেকে ব্যাক করতে পারবো এমন কিছু ইঙ্গিত তিনি দিয়েছিলেন। সত্যি তার ইঙ্গিত দেওয়ার পরে কিছুক্ষণের মধ্যে সালার একটি শট বার পোস্টে লেগে ঘুরে আসে। বেশি দারুণ শর্ট ছিল গোল হওয়ার মত কিন্তু ভাগ্য সহ ছিল না তারপরও তাদের বেশি কোন অপেক্ষা করতে হয়নি তার কিছুক্ষণের মধ্যেই হেডে গোল করে আনে। আরে গোলের মধ্য দিয়ে তারা এক এক গোলে সমতা ফেরায়।

দুই দল বেশ জাকজমকপূর্ণ ভাবে খেলা খেলছিল আক্রমণ ছিল প্রতিধাপে ধাপে। আক্রমণের পর আক্রমণ করেছিলেন লিভারপুল। মোঃ সালহা বেশ কয়েকটি সুযোগ পাইলো তার ভাগ্য গোল ছিল না তাই তিনি গোল করতে পারে নাই। কিছুক্ষণের মধ্যে আবারও তারা দ্বিতীয় বলে দেখা পাই। এই গোলটি ছিল বেশ দেখার মত একটি গোল। আর এই গোলের ব্যবধানে তারা ২-১ গোলে এগিয়ে যায়। খেলাটি ছিল জাঁকজমকপূর্ণ এবং খেলাটি দেখে বেশ ভালো লাগছিল। যখন গোল হয় তখন প্লেয়ারদের মধ্যে একটা উৎসাহ বেড়ে যায়রে উৎসর ফলে তারা আরো বেশি গোল করার জন্য আগ্রা সে মনোভাব নিয়ে সামনে ফেলে যায়। আর এই বিষয়টা আমি লক্ষ্য করেছিলাম লিভার পুরের প্লেয়ারদের মধ্যে। আসলে ইউরোপের খেলা গুলো দেখতে বেশি ভালো লাগে এই কারণে এদের খেলা সব সময় দৌড়ের উপরে অর্থাৎ আক্রমণাত্মক তারা খেলা করে থাকে। আর আক্রমনস্ত খেলা করে বলেই খেলা দেখতে বেশি ভালো লাগে।

দলের অধিনায়ক হিসেবে যে কাজটি করার দরকার ঠিক সেই কাজটি করেছে লিভারপুলের অধিনায়ক কি চমৎকার একটা হেডে গোল দিয়েছে গোলটা সত্যি অসাধারণ ছেলে এবং দেখার মত একটি গোল করেছিলেন তিনি। এটি ছিল দলে তিন নম্বর গোল আর গোল্ড এত সুন্দর হয়েছিল যা দেখে সত্যিই অনেক ভালো লেগেছিল। আসলে সব থেকেও কঠিন গোল হল হেডের গোল যে গোলগুলোর ঠেকানো গোলকির জন্য প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত তারা ৩-১ গোলে হারালো মিলানকে।

আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।