যৌবনের এই স্রোত রুখে সাধ্য কার (প্রথম পর্ব)?

কেমন আছেন বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


মাত্র অল্প কিছুদিন আগের কথা। বর্তমান সময়ের কিশোর যুবক এদের কার্যকলাপ নিয়ে আমি রীতিমতো হতাশায় ভুগছিলাম। দেশের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ রীতিমতো পরিকল্পিতভাবে যৌবনের ক্ষমতাকে ধ্বংস করে দিচ্ছিলো। যে বয়স নির্ভয়ে অসত্য উচ্চারণের, যেই বয়স নষ্ট সিস্টেমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের। সেই বয়সি ছেলে মেয়েদেরকে দেখছিলাম বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের লেজুর বৃত্তিতে ব্যস্ত থাকতে। তাদের এহেন কর্মকাণ্ড দেখে চিন্তা করতে লাগলাম এই জেনারেশন কে দিয়ে বোধ হয় আর ভালো কিছু সম্ভব না।


1000010270.png

সারাদিন তারা বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে অনাহুত সময় অপচয় করে। সাহিত্যচর্চা তাদের জীবন থেকে প্রায় উঠেই গিয়েছে। এই কারণে তারা সমাজের সবচাইতে নষ্ট মানুষকেও তাদের আইডল বানাতে দ্বিধা করে না। সবকিছু দেখে রীতিমত হতাশায় ভুগছিলাম। মনে হচ্ছিল স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে কথা বলার যে কণ্ঠস্বর গুলো থাকার কথা ছিলো তাদেরকে সুকৌশলে থামিয়ে দেয়া হয়েছে। তাদেরকে নষ্ট রাজনীতিবিদদের স্তুতি বাক্য পাঠে ব্যস্ত রাখা হয়েছে।

চারিদিক তাকিয়ে আশার কোনো আলো দেখতে পাচ্ছিলাম না। ঠিক সেই সময়ে শুরু হোলো ছাত্রদের এই বিদ্রোহ। অন্যায় এবং বৈষম্যের বিরুদ্ধে তাদের গর্জে ওঠা দেখে রীতিমত অবাক হয়ে গেলাম। নিজের বুকেও তখন অনেকটা সাহস পেলাম। মনে হতে লাগলো আমাদের দেশে তারুণ্যের শক্তি যুব সমাজের শক্তি এখনো নিঃশেষ হয়ে যায়নি। তারা এখনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়তে প্রস্তুত রয়েছে।


আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।



ধন্যবাদ

Sort:  
 5 days ago 

আসলেই কিছুদিন আগেও মনে হয়েছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর মতো কেউ নেই। কিন্তু তরুণদের সাহসী উদ্যোগ সেই ধারণা একেবারে পাল্টে দিয়েছে। তরুণেরা মন থেকে চাইলে যেকোনো শক্তিতে প্রতিহত করতে পারে। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।