নাটক রিভিউ :- " ফকির গ্রাম " ( ৪০ পর্ব )

in আমার বাংলা ব্লগ6 days ago (edited)

✋হ্যালো বন্ধুরা,✋

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আপনাদের সাথে একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করব। কিছুদিন ধরে আমি " ফকির গ্রাম " এই নাটকটি দেখছিলাম । এই নাটকটি মূলত পর্ব আকারে করা হয়েছে। আজকে আমি আপনাদের সামনে এই নাটকের ৪০ তম পর্ব শেয়ার করবো। আশা করি নাটকটি আপনাদের ভালো লাগবে।

Screenshot_20240908-223916_YouTube.jpg

ইউটিউব থেকে নেওয়া স্ক্রীনশট

নাটক সম্পর্কে কিছু তথ্য :-

নামফকির গ্রাম।
পরিচালনাঈগল টিম
প্রযোজনাকচি আহমেদ
প্রযোজনা সহকারীজাহাঙ্গীর আলম, বাবু আহম্মেদ, আলমগীর, ইনামুল, মারুফ, জনি।
স্ক্রিপ্টসুলাইমান
অভিনয়েআনোয়ারুল আলম সজল, ইফতেখার ইফতি, আজমাইল মেহেরব এলহাম, মোসাদ্দেক সাহেব, লিপু মামা, তুহিন চৌধুরি, সবুজ আহমেদ, রাবিনা, জারা নুর, স্পর্শিয়া মিম, সাগরিকা ইসলাম মিনহা, আফরিভা খান মুমু, আকাশ ইসলাম, সুমন পাটোয়ারী, রেজবিনা মৌসুমী, আকলিমা লিজা, অদিতি জামান স্নেহা, জাহাঙ্গীর কবির , মিমো এবং জাকির সিন্টু।
প্রধান সহকারী পরিচালককামরুজ্জামান রানা, আকরাম দেওয়ান, এস এল ডি সাগর, শাফায়েত, হানিফ খান
সম্পাদনাঅনিক ইসলাম
সহকারী সম্পাদনাজুনায়েদ মোঃ বাঁধন

কাহিনী সারসংক্ষেপ

এই পর্ব শুরুতেই আমরা ঐ নতুন ফকির দুইটাকে দেখতে পাই। তারা দুইজন বিক্রি করতে করতে আসছিল। আর এক পাশে দাঁড়িয়ে তাদের ব্যবসার কথা বলতে থাকে। তখনই ওখানে তাদের একটা লোক আছে। আর রতন ফকিরকে ধরে নেওয়ার বিষয়টা বলে। আর এটাও বলে দেয় তাদের সাথে এরকম কাজ নাকি শেয়ার করবে না। কিন্তু তারা বলে যদি কাজ না করে তাহলে পুলিশের কাছে তাকে ধরিয়ে দেবে। এরকমভাবে বিভিন্ন কথা বলে, আর বলে নিজের কাজ নিজে সুন্দর ভাবে করতে। এরপর ওই ফকির দুইটা সেখান থেকে চলে যায়। এরপর দেখা যায় সায়েম ফকির একটা গাছের পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছে। আর তার বউ তাকে বিষয়টা কি জিজ্ঞেস করে। এরপর তার বউ সায়েমকে মর্জিনার কথা বলে। তার বাবা সুন্দরী খালাকে বিয়ে করতে চায়। আর এইজন্য মর্জিনা ঘর থেকে বের হচ্ছে না, এসব কিছু তাকে খুলে বলে। কিন্তু সায়েম এই কথাগুলো একেবারেই পাত্তা দেয় না।

Screenshot_20240908-224047_YouTube.jpg

ইউটিউব থেকে নেওয়া স্ক্রীনশট

তারা যখন কথা বলছিল তখন সেখানে মানিক এবং চান্দু ফকির আসে। আর সায়েমের কাছে সাহায্য চায়, রতন ফকিরকে একসাথে সবাই মিলে জেল থেকে নিয়ে আসার জন্য। কিন্তু সায়েম তো একেবারেই যেতে রাজি হয় না। এরপরও তারা অনেক বার তাকে বলতে থাকে। কিন্তু সে কোনো রকমে যেতে রাজি না। তারপর সায়েমের বউ তাদের সাথে চলে যায় রতন ফকিরকে ছাড়ানোর জন্য। আর সায়েম কে সেখানে রেখে যায়। সায়েম তো অনেক বেশি রেগে যায়। আর একটা লাঠি খুঁজে দৌড়ে চিৎকার করতে করতে চলে যায়। এরপর প্রিন্স কে দেখা যায় পুকুরপাড়ে বসে রয়েছে। আর তখনই সেখানে জোনাকি আসে। তারা যখন ওখানে কথা বলছিল তখন সেখানে ফুলি চেয়ারম্যানকে নিয়ে আসে। আর চেয়ারম্যান প্রিন্সকে বিভিন্ন কথা বলে আর জোনাকিকে নিয়ে চলে যায়। তাকে নাকি বিদেশ পাঠিয়ে দিবে আবারও এই কথা বলে।

Screenshot_20240908-224207_YouTube.jpg

ইউটিউব থেকে নেওয়া স্ক্রীনশট

তারপর দেখা যায় সায়েম ফকির লাঠি নিয়ে দৌড়ে দৌড়ে আসছে। আর তখনই কাদেরের সাথে দেখা হয়। আর কাদের দাঁড়িয়ে তাকে কিছু জিজ্ঞেস করলেও, সে মানিক এবং চান্দুকে মারার কথা বলে সেখান থেকে চলে যায়। এরপর আমরা দেখতে পাই মেম্বারকে। তিনি রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় প্রিন্সের বন্ধু এবং ওনার লোকের সাথে দেখা হয়। আর মাদক বিক্রির বিষয়ে তাদের সাথে কথা বলে। আর তাদেরকে এটাও জানিয়ে দেয়, তারা যদি এটার সাথে জড়িত থাকে, তাহলে তিনি তাদেরকে কখনো ছেড়ে দেবে না। এরপর তারাও চিন্তা করে তারা এসব ছেড়ে দেবে, যদিও উনার কাছে কিছু স্বীকার করেনি। এরপর আমরা আবারো সায়েম ফকিরকে দেখতে পাই। সে লাঠি নিয়ে চিৎকার করতে করতে দৌড়ে যখন আসছিল তখন চম্মনের সাথে দেখা হয়। আর চম্মনকে বলে আমি তোমার বোনকে মারতে চাচ্ছি এই লাঠি দিয়ে। চম্মন যদিও ভাত খাওয়ার জন্য তাকে ডাকে কিন্তু সে যায় না। বরং সে তার বউকে মারার জন্য দৌড়ে চলে যায়। এরপর চম্মনকে যায় তার বাবাকে ডেকে আনতে।

Screenshot_20240908-224256_YouTube.jpg

ইউটিউব থেকে নেওয়া স্ক্রীনশট

এরপর আমরা দেখতে পাই সুতা ফকির দাঁড়িয়ে রয়েছে। আর তখনই সেখানে তার বন্ধু এবং তার বন্ধুর বউ আসে। এরপর সুতা ফকির তাদেরকে বলে তার সাথে রতন ফকিরকে ছাড়ানোর জন্য যেতে। এরপর তারা ও স্লোগান দিতে দিতে এগোতে থাকে। এরপর মানিক ফকির এবং চান্দু ফকির আর সায়েম ফকিরের বউকে দেখা যায় রাস্তা দিয়ে আসছিল। যখনই একটা দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে যায়। আর সায়েমকে কিভাবে শাস্তি দেবে এই বিষয়টা চান্দু ফকির এবং মানিক ফকিরকে বলে। এরপর সে তার প্ল্যান অনুযায়ী সায়েম আসার পর দোকানে থাকা লোকদেরকে বলে সায়েম নাকি কাকে চিন্তাই করছে। এই বলে তাকে মার খাওয়ায়। একপর্যায়ে তাদেরকে মারতে বারণ করে দেয়, আর তারা দুজন বাড়িতে চলে যায়। এরপর ওই ফকির গুলোকে দেখা যায় স্লোগান করতে করতে আসছিল। আর তখন চান্দু এবং মানিক ফকিরও সেখানে আসে। আর তারাও তাদের সাথে যোগ দেয় পরে।

Screenshot_20240908-224343_YouTube.jpg

ইউটিউব থেকে নেওয়া স্ক্রীনশট

তারা যখন স্লোগান করতে করতে সবাই আসছিল, তখন কাদের ফকিরের সাথে তাদের দেখা হয় তারা কাদের ফকিরকে বলে তাদের সাথে যোগ দেওয়ার জন্য। কিন্তু কাদের ফকির রাজি হয় না। বরং সে ভিক্ষা করার জন্য চলে যায় সেখান থেকে। তারপর তারা আবারও স্লোগান দিয়ে দিতে চলে যায়। তারপর আমরা ডাক্তার আপাকে দেখতে পাই পুলিশের সাথে কথা বলতে রতনকে ছাড়ানোর বিষয়ে। পুলিশও বুঝতে পারে রতন আসলে দোষী নয়। আর ডাক্তার আপা বলে যারা মাদক বিক্রির পেছনে আছে তিনি তাদেরকে চিনে। এরপর তিনি বলে আমি এই বিষয়ে সাক্ষীও দিতে পারব। এরপর পুলিশ ওনাকে বিস্তারিত সবকিছু জানার জন্য থানায় নিয়ে যান। তারপরে আমরা চম্মনকে দেখতে পাই দৌড়ে দৌড়ে তার বাবার কাছে এসেছে। তারপরে সে তার বাবাকে সবকিছু খুলে বলে। তিনি তো বিষয়টা জেনে অনেক রেগে যান। এরপর তারা সেখান থেকে চলে যায় সায়েম ফকির এবং তার মেয়েকে খোঁজার জন্য। তারপরে আমরা দেখতে পাই ডাক্তার আপা রতনকে পুলিশের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসছে। এরপর সেই অপরাধীদের বিষয়ে তারা তখন কথা বলতে থাকে। তারপর তারা সেখান থেকে চলে আসে। আর তখনই এই পর্বটা শেষ হয়ে যায়।

ব্যক্তিগত মতামত

এই নাটকের সবগুলো পর্বের মতো এই পর্ব টাও খুব সুন্দর হয়েছে। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে এই পর্ব টাও। যারা মাদক বিক্রির সাথে জড়িয়ে রয়েছে, পুলিশ তাদেরকে এখনো পর্যন্ত ধরতে পারেনি। বরং নির্দোষ মানুষদেরকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে, আবার তদন্ত করে ছেড়েও দিচ্ছে। আমরা এর আগের পর্বে দেখেছি রতন ফকিরকে ধরে নিয়ে গিয়েছে।ডাক্তার আপা এখন রতন ফকিরকে ছাড়িয়ে এনেছি পুলিশের কাছ থেকে। অন্যদিকে প্রিন্স আর ঝুমা যখন পুকুর পাড়ে কথা বলছিল, তখন চেয়ারম্যানের কাছে তারা ধরা পড়ে যায়। চেয়ারম্যান তো তার মেয়ে জোনাকিকে নিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। আর প্রিন্সকে বিভিন্ন কথা শোনায়। এখন দেখা যাক তিনি জোনাকিকে বিদেশে পাঠায় নাকি পাঠাবে না। আবার মেম্বারের লোকজন মাদক বিক্রির কাজ ছেড়ে যাওয়ার কথা চিন্তা করছে। দেখা যাক তারা এখন কি করে। অন্যদিকে আবার পুলিশ তাদেরকে ধরবে। কি হবে এগুলো পরবর্তী পর্বে আপনারা জানতে পারবেন। আশা করছি পরবর্তী পর্বের জন্য আপনারা অপেক্ষায় থাকবেন।

ব্যক্তিগত রেটিং

৯/১০

নাটকের লিংক

আমার পরিচয়

DSC00912.jpg

আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।

ধন্যবাদ সবাইকে

banner-abb23.png

cyxkEVqiiLy2ofdgrJNxeZC3WCHPBwR7MjUDzY4kBNr81Nob8RjiAuXKzVPMCYze3VPJuZt6zKYtv5NHRTGki5Bb9J8zQgkNJMsUwkntqf5nqvpbiaDQNgkiw5c4UajTzbY.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 6 days ago 

আপনি খুব সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার চমৎকার এই নাটক রিভিউ করতে দেখে বেশ ভালো লাগলো আমার। অসাধারণ ভাবে নাটক রিভিউ কাজ সম্পন্ন করেছেন। বেশি দারুন হয়েছে আপনার নাটক রিভিউটা। এ নাটক রিভিউ দেখার মধ্য দিয়ে বেশ ধারণা পেলাম আমি।

 5 days ago 

আমার নাটক রিভিউ আপনার কাছে ভালো লেগেছে শুনে খুশি হলাম।

 6 days ago 

খুব সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করেছেন আপু।বেশ কয়েকটি পর্ব শেয়ার করেছেন আপু।নাটকের গল্পটি বেশ ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 5 days ago 

আমি চেষ্টা করবো শেষ পর্যন্ত পর্ব গুলো আস্তে আস্তে শেয়ার করার জন্য।

 6 days ago 

আমার বাংলা ব্লগে মোটামুটি সবাই দেখছি নাটকের রিভিউ দিচ্ছে। নাটকের এই পর্বের রিভিউ পড়ে মনে হল নাটকটি বেশ সুন্দর একটি নাটক। সময় সুযোগ পেলে নাটকটি অবশ্যই দেখে নিব। ধন্যবাদ আপু, সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 5 days ago 

হ্যাঁ এই নাটকটা অনেক বেশি সুন্দর। সময় পেলে অবশ্যই দেখবেন।