মোটরবাইকে চড়ে ঘোরাঘুরি
গত কয়েকদিন থেকে আবহাওয়া বেশ শীতল আছে, কিছুদিন আগের মতো এখন আর অতিষ্ঠ গরম নেই। মোটামুটি বলা যায়, চারিপাশটা বেশ শীতল। যেহেতু গ্রামে আসার পর থেকেই অনেকটা ফুরফুরে মেজাজে ছিলাম, তাই এবার বাহিরে সেভাবে খুব একটা ঘোরাঘুরি করা হয়েই ওঠেনি।
ভিডিও লিংক
অবশেষে সেদিন বেরিয়ে ছিলাম প্রকৃতির মাঝে কিছুটা সময় কাটানোর জন্য। এ যাত্রায় অবশ্য দোলন ভাই আমাকে বেশ সহযোগিতা করেছিল। যেহেতু এখানে সবার সঙ্গে খুব একটা তেমন বেশি আমার আন্তরিকভাবে মেশা হয় না, তাই সেদিক থেকে দোলন ভাই বয়সে বড় হলেও তার সঙ্গে দিন দিন আমার, বেশ ভালো সখ্যতা গড়ে উঠেছে।
দীর্ঘ তিন দিন মোটামুটি বাড়িতে থাকার পরে অতঃপর বেরিয়ে ছিলাম এই ভ্রমণে। তিনটা দিন মোটামুটি বই পড়ে এবং নিজের কাজ করে বাড়িতেই সময় কাটিয়েছিলাম। যেহেতু আবহাওয়া শীতল আছে, তাই ভাবলাম আশেপাশ থেকে কোথাও ঘুরে আসা যাক। অবশেষে প্রস্তাবটা দোলন ভাইকে দিলাম।
ভদ্রলোক আমাকে নিরাশ করেনি। অতঃপর তার মোটরবাইকে চড়ে ঘুরে বেড়ালাম প্রকৃতির মাঝে। মোটরবাইকে চড়ার পরে মনে হচ্ছিল, হিম শীতল বাতাস যেন আমাকে ক্রমাগত ছুঁয়ে যাচ্ছিল। তখন ভাবছিলাম, কয়েকদিন আগেও অতিরিক্ত গরমের কারণে যেখানে অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছিলাম, ঠিক একইভাবে আজ প্রকৃতির মাঝে ঘুরতেও খুব একটা তেমন অসুবিধা হচ্ছিল না। প্রকৃতি যেন আমাকে একদম নিজের মত করে কাছে টেনে নিয়েছিল।
দারুণ উপভোগ করছিলাম, অকৃত্রিম-অপার্থিব সৌন্দর্য, বারবার মুগ্ধ হচ্ছিলাম। বলতে গেলে মানসিকভাবে যেন চাঙ্গা হচ্ছিলাম এমন সৌন্দর্য দেখে। বিশুদ্ধ অক্সিজেনে হৃদপিণ্ডটা যেন ভরে উঠেছিল। এখানে কেউ কারো নয়, শুধু প্রকৃতি আর আমি। দুজন দুজনকে যেন আলিঙ্গন করেছিলাম। আহা সেকি প্রশান্তি।
মোটরবাইকে ঘোরার সত্যিই অন্যরকম একটা মজা আছে, যা হয়তো সেদিন কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছিলাম। যদিও আমরা নিরাপত্তার কথা ভেবে, স্বল্প গতিতেই চলেছিলাম। তবে বড্ড মজা পেয়েছি। কেননা চতুর্দিকে শুধুমাত্র ফসলের জমি আর তার মাঝ দিয়ে এই পাকা রাস্তা চলে গিয়েছে দূর থেকে বহুদূর। সব মিলিয়ে যদি বলতেই হয়, এই ভ্রমণটা আমার কাছে ছিল অনেকটা মনে দাগ কাটার মত। হয়তো বহুদিন এ স্মৃতি বয়ে নিয়ে বেড়াবো নিজের মাঝে।
যাইহোক বন্ধুরা, আমার কাটানো মুহূর্তের উপর ভিত্তি করে, একটা ভিডিও দেওয়ার চেষ্টা করেছি, আশা করছি প্রকৃতি প্রেমীদের কাছে ভিডিওটি ভালো লাগবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বর্তমান সব জায়গা কম বেশি বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে আবহাওয়া ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে। বিকেল মুহূর্ত প্রকৃতির মাঝে কাটানোর দারুন সময়। এটা আমরা প্রতিনিয়ত উপভোগ করি। বিকেল হলেই বাইক নিয়ে বেরিয়ে যাই প্রকৃতির মাঝে ঘুরাঘুরি করতে। প্রকৃতির মাঝে ঘুরাঘুরি করলে খুবই ভালো লাগে। আপনি আপনার পরিচিত দোলন ভাইয়ের সাথে বাইকে দারুন সময় কাটিয়েছেন। আসলে কাজের ফাঁকে এরকম সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করা উচিত। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
তোমাদের ঘোরাঘুরি দেখে তো আমার মাঝে মাঝে হিংসে হয়, তাই একটু চেষ্টা করেছিলাম, তোমাদের মত করে সময় কাটানোর জন্য। তোমাদের সকলের জন্য শুভেচ্ছা রইল।
গ্রামের বাড়িতে অনেক সুন্দর সময় কাটাচ্ছেন বোঝাই যাচ্ছে ভাইয়া। বই পড়া আর অন্যান্য কাজের মাঝে হয়তো সেভাবে কয়েকদিন ঘর বন্দি থেকেছিলেন। এরপর দোলন ভাইয়ের সাথে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন বুঝতেই পারছি। আসলে কিছু কিছু মানুষ আছে যাদের সাথে হঠাৎ করেই বন্ধুত্ব হয়ে যায়। আর সেই বন্ধুত্ব থেকেই সময়টা দারুন কাটে। প্রকৃতির এই সুন্দর আবহাওয়ায় ঘোরাঘুরি করতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। ভাইয়া আপনার শেয়ার করা ভিডিওগ্রাফিটি দেখে অনেক ভালো লাগলো।
দু-একদিনের মধ্যেই শহরে ফিরে যাব, তাই সময় গুলোকে একটু নিজের মতো করে কাটানোর চেষ্টা করছি আপু।
বিকেল বেলা বাইকে চড়ে এমন রাস্তা দিয়ে ঘুরতে ভীষণ ভালো লাগে। চারিদিকে সবুজের সমারোহ দেখে চোখ দুটি একেবারে জুড়িয়ে গিয়েছে। মোটকথা প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়ে গেলাম। দোলন ভাইয়ের সাথে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছিলেন সেদিন। ভিডিওটা দেখে সেটা খুব ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছি। সবমিলিয়ে পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম ভাই। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এটা সত্য যে, সেদিনের সময়টা আমার কাছে বেশ ভালই কেটেছিল এবং বেশ মনে রাখার মত সময় ছিল, এটা নিঃসন্দেহে বলাই যায়।
আসলে প্রকৃতির মাঝে ঘোরাঘুরি করতে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনি আপনার দোলন ভাইয়ের সাথে বাইকের মাধ্যমে গ্ৰামীন মেঠো পথ দিয়ে ঘোরাঘুরি করেছেন।আর মোটরসাইকেলের মধ্যে এরকম সবুজ শ্যামল প্রকৃতির মাঝে ঘোরাঘুরি করতে সকলেরই ইচ্ছে হয়। যাইহোক, গ্ৰামের মধ্যে আপনার বেশ ভালোই সময় কাটছে তাহলে। আশা করছি সামনের দিন গুলো আরো বেশি ভালো কাটবে।
এটা ঠিক কথা দাদা, বৃষ্টি হওয়ার কারণে এখন ওয়েদারটা আর আগের মত অতটা গরম নেই। আপনি দোলন ভাইকে নিয়ে বাইকে করে ঘোরাঘুরি করেছেন এবং সুন্দর প্রকৃতির হিমেল হাওয়া উপভোগ করেছেন, যেটা জেনে খুব ভালো লাগলো। তবে সব থেকে ভালো লাগলো এটা জেনে যে, নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ধীরে সুস্থ্যে বাইক চালিয়েছেন, যেটা সত্যিই খুব দরকারী। তাছাড়া আপনার ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে সুন্দর প্রকৃতিও দেখতে পারলাম, যার জন্য আরো বেশি ভালো লাগলো।
সবার আগে নিশ্চিত করতে হয় নিরাপত্তা, তারপর অন্য কিছু। আমি এমনটাই মনে করি ভাই। ধন্যবাদ তোমার মন্তব্যের জন্য।
দাদা, শতভাগ একমত আপনার এই কথার সাথে আমি।
সুন্দর ওয়েদারে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে ভালো লাগে। পঙ্খিরাজটি কিন্তু সত্যিই ভালো লেগেছে। দোলন ভাইয়ের সাথে আপনার বন্ধুত্ব দেখে ভালো লাগলো। অনেক অনেক শুভকামনা এবং ভালোবাসা রইলো ভাইয়া।
ঠান্ডা আবহাওয়াতে বাড়িতে বসে বই পড়ার মজাই আলাদা। যেহেতু আপনি বই পড়লেন নিজের কাজগুলো করলেন অনেকদিন পরে বেরিয়ে পড়লেন। মাঝে মধ্যে বাইরে ঘোরাঘুরি করতে বেশ ভালো লাগে। আমিও চলে যাই মন ছুটলে। তবে বাইকে চড়ার মজাই আলাদা। যেহেতু একজন সঙ্গি পেলেন বেশ ভালোই উপভোগ করলেন আপনি প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো। আপনার ব্লগটি পড়া অনেক বেশি ভালো লেগেছে।
একটা সত্য, টানা কয়েক দিন বই পড়ার পরে মাথাটা একদম ভারী হয়ে গিয়েছিল, তাই এই ঝটিকা সফর ছিল আপু।
গ্রামের সরু রাস্তার জন্য ভ্যানগাড়ি আর মোটরবাইকই ভালো। মোটরবাইকে চড়ার আলাদা একটা মজা আছে ভাইয়া। তার উপর গ্রামের রাস্তার মাঝ দিয়ে মোটরবাইক চালিয়ে যাওয়াটা আরও উপভোগ্য। দোলন ভাইকে এর আগেও একবার আপনার পোস্টে দেখেছিলাম। ভদ্রলোক আপনার থেকে বড় হলেও আপনার সাথে উনার ভালো সখ্যতা তৈরি হয়েছে জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া।
এটা সত্য, বহু আগে একবার ভদ্রলোক কে নিয়ে লিখেছিলাম। খুব ভালো লাগলো জেনে, আপনি ব্যাপারটা এখনো মনে রেখেছেন। শুভেচ্ছা রইল।
জী ভাইয়া কয়েকদিন বৃষ্টি হওয়ার পরে আবহাওয়াটা মোটামুটি অনেকটা শীতল। দোলুন ভাইয়ার সাথে মটরাবাইকে ঘুরে খুব সুন্দর প্রকৃতিটা উপভোগ করেছেন। প্রথমে ছবিতে যে রাস্তাটা দেখলাম সেটা দেখলেই তো মনটা ভরে যায়। ধন্যবাদ।