সরষে ছাড়া পটল ইলিশের মজাদার রেসিপি ও মজার গল্প 💞
সকলকে শুভেচ্ছা । আশা করি সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আর আপনারা সবাই সবসময় ভালো থাকবেন, এটাই প্রত্যাশা করি।💕
💞সরষে ছাড়া পটল ইলিশের মজাদার রেসিপির মজার গল্প 💞
রেসিপি নিয়ে এলাম আজ,
সাথী রান্নাঘরে চলছে
তারি কারুকাজ,
সঙ্গে থাকবে সৃজনশীলতার
মজাদার সেই গল্প,
গল্প মাঝে খুঁজে পাবে
মহা অণুকল্প।
মাছটি ছিল জটকা, তরতাজা টাটকা।
☆꧁ সাথী রান্না ঘরে "ইলিশ পটোলের মজাদার রেসিপি ও গল্প"꧂☆
ইলিশের ডিমের গল্প: স্নেহ ও স্বাদের পরশ
নীলফামারী শহরের বাবু পাড়ার অন্যতম এক গৃহিণী , নাম তার সাথী । তিনি দুই সন্তানের জননী। দুই সন্তানের সঙ্গে তার ছোটো, সুখী একটি সংসার। সাথীর জীবন কাটে রান্না বান্না আর সন্তানদের যত্ন লেখালেখি আর সামাজিক কর্মকান্ড নিয়ে। সে প্রতিদিন সকালে উঠে বাড়ির কাজ সেরে, ছেলেমেয়ে দুজনকে স্কুলে পাঠাতো।
সাথীর খুব প্রিয় একটি কাজ হলো রান্না করা। বিশেষ করে যখন সে নতুন কোনো রেসিপি শিখতে পারে। আবার নিজে নিজেও অনেক ইউনিক রেসিপি তৈরী করে। আর তাই সে ঠিক করলো আজ সরষে ছাড়া ইলিশ পটোলের খুব সুস্বাদু ও মজাদার ইউনিক রেসিপি করবে। যেই ভাবা সেই কাজ,,,,
খুবই চমৎকার সুস্বাদু মর্যাদার এই রেসিপিটি তৈরি করার পর পাশের বাড়ি তার দেবরের ছেলেমেয়েদেরকে ডেকে একসাথে মজা করে সবাই মিলে খেলো এবং দারুণ ভাবে সবাই তার রান্না করা রেসিপির বেশ প্রশংসা করলো।
সাথীর কাছে মনে হলো, রান্না কেবল খাবার নয়; এটি ভালোবাসা এবং যত্নের প্রকাশ। সে বুঝল, সংসার চালানো ও সন্তানদের বড় করে তোলার জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাথীর হাসি আর সন্তুষ্টি ছিল তার জীবনের সবচেয়ে বড় পুরস্কার।
♥☆꧁:: সাথী রান্না ঘর .::. ꧂☆♥
সাথী রান্নাঘরে আবারও সবাইকে স্বাগতম। আজ আমি নিয়ে এসেছি আপনাদের সকলের জন্য খুবই চমৎকার একটি রেসিপি। আর সেটা ইতিমধ্যে আপনারা জেনে গিয়েছেন। বন্ধুরা আজ সাথী রান্নাঘরে থাকছে সুস্বাদু মজাদার ইলিশ পটোলের মজাদার রেসিপি।
☆꧁প্রয়োজনীয় উপকরন꧂☆
ইলিশ মাছ (ছোট)
পটল
আদা বাটা
রসুন বাটা
কাঁচা মরিচ
জিড়া গুঁড়া
লালমরিচের গুঁড়া
হলুদ
পেঁয়াজ
লবণ
তেল
- প্রথমে ভালোভাবে মাছ গুলো ধুয়ে নিয়ে লবণ, হলুদ, লাল মরিচের গুঁড়া দিয়ে ভালো ভাবে মেখে নিবো।
- এবার পেঁয়াজ গুলো ধুয়ে কেটে নেব। এবং কাঁচা মরিচ আদা রসুন ও একটি পেঁয়াজ বেলেন্ডারে বেটে নিবো।
- চুলার মধ্যে একটি করাইয়ে তেল গরম করে মাছ গুলো ভেজে নিবো।
- এবার ভাজা মাছ গুলো করায় থেকে তুলে রেখে ওই তেলের মধ্যে কাঁচামরিচ এবং পেয়াজগুলো ভালোভাবে ভেজে নিয়ে, মসলার সব উপকরণ গুলো দিয়ে ভালোভাবে কষে নেব।
- এবার সবগুলো উপকরণ ভালোভাবে কোষে নেওয়ার পর ধুয়ে কেটে রাখা পটল গুলো দিয়ে হালকা কষে একটু পানি দেব সেদ্ধ হওয়ার জন্য। পটল গুলো সিদ্ধ হওয়ার পর ভাজা মাছ গুলো দিয়ে আবারো ভালোভাবে কষে হালকা পানি দেবো ঝোলের জন্য। ঝোল গুলো টগবগ করলে 5 মিনিটের মতো রান্না করে নামিয়ে নেব।
- রান্না হয়ে গেল আমার সুস্বাদু মজাদার সরষে ছাড়া পটল ইলিশের মজাদার রেসিপি । ভীষণ লোভনীয় এই রেসিপিটি আমাদের পরিবারের সবাই ভীষণ পছন্দ করে। তবে,খেতে দারুন টেস্টি হয়েছিল।
তো বন্ধুরা আমার আজকের এই রেসিপিটি যদি, আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে, তবেই আমার সার্থকতা। আপনারা সকলেই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আজকের মত বিদায় নিচ্ছি। টা টা,,
আমি ছন্দের রাজ্যে, ছন্দরাণী কাব্যময়ী-কাব্যকন্যা বর্তমান প্রজন্মের নান্দনিক ও দুই বাংলার জনপ্রিয় কবি সেলিনা সাথী। একধারে লেখক, কবি, বাচিক শিল্পী, সংগঠক, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার, মোটিভেটর ও সফল নারী উদ্যোক্তা।আমার পুরো নাম সেলিনা আক্তার সাথী। আর কাব্যিক নাম সেলিনা সাথী। আমি নীলফামারী সদর উপজেলায় ১৮ মার্চ জন্মগ্রহণ করি। ছড়া কবিতা, ছোট গল্প, গান, প্রবন্ধ, ব্লগ ও উপন্যাস ইত্যাদি আমার লেখার মূল উপজীব্য। আমার লেখনীর সমৃদ্ধ একক এবং যৌথ কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ১৫ টি। আমার প্রথম প্রকাশিত কবিতার বই- সাথীর শত কবিতা,অশ্রু ভেজা রাত, উপন্যাস মিষ্টি প্রেম, যৌথ কাব্যগ্রন্থ একুশের বুকে প্রেম। জীবন যখন যেমন। সম্পাদিত বই 'ত্রিধারার মাঝি' 'নারীকণ্ঠ' 'কাব্যকলি' অবরিত নীল সহ আরো বেশ কয়েকটি বই পাঠকহমলে বেশ সমাদৃত। আমি তৃণমূল নারী নেতৃত্ব সংঘ বাংলাদেশ-এর নির্বাচিত সভাপতি। সাথী পাঠাগার, নারী সংসদ, সাথী প্রকাশন ও নীলফামারী সাহিত্য ও সংস্কৃতি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এছাড়াও আমি জেলা শাখার সভাপতি উত্তোরন পাবনা ও বাংলাদেশ বেসরকারি গ্রন্থাগার পরিষদ নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছি। আমি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৪ সালে নীলফামারী জেলা ও রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য শ্রেষ্ঠ জয়িতা অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছি। এছাড়াও সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় ও সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ অবদান রাখায় আমি বহু সম্মামনা পদক অর্জন করেছি। যেমন সাহিত্যে খান মইনুদ্দিন পদক ২০১২। কবি আব্দুল হাকিম পদক ২০১৩। শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র কর্তৃক সম্ভাবনা স্মারক ২০১৩। সিনসা কাব্য সম্ভাবনা ২০১৩। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে সম্মামনা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সম্মাননা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১১৫ তম জন্ম জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ২০১৪। দৈনিক মানববার্তার সম্মামনার স্মারক ২০২৩। চাতক পুরস্কার চাতক অনন্যা নারী সম্মাননা ২০২৩ ওপার বাংলা মুর্শিদাবাদ থেকে মনোনয়ন পেয়েছি। এছাড়াও ,ওপার বাংলা বঙ্গবন্ধু রিসার্চ এন্ড কালচারাল ফাউন্ডেশন ভারত বাংলাদেশ। কবিগুরু স্মারক সম্মান ২০২৪ অর্জন করেছি।
বিষয়: রেসিপি
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
বেশ ভালো লাগলো গল্পে গল্পে রান্নার কার্যক্রম দেখে। এটা কিন্তু ইউনিক জাতীয় একটি পোস্ট বলা যায়। যেখানে খুব সুন্দর গল্প আবার এদিকে রান্নার কার্যক্রম। ভালো লাগলো বাস্তব জীবনের সংক্ষিপ্ত গল্প শেয়ার করতে দেখে। আর এদিকে রেসিপি টা মনে হচ্ছে দারুন।
আপনার গল্প পড়ে অনেক ভালো লাগলো। সত্যি আপু এমন নতুন রেসিপি করলে অনেক ভালো লাগে। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজার হয়েছে। আর মজা হবে না কেন দেখতে হবে না রাধুনি কে?যেমন মাছ তেমন রাধুনি তাহলে তো মজা হওয়া স্বাভাবিক। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এমন রেসিপি দেখলে খেতে খুব ইচ্ছে করে। আপনার ইলিশ মাছের রেসিপি খুবই দুর্দান্ত হয়েছে। আপনার রন্ধন প্রক্রিয়া খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার এবং সুস্বাদু হয়েছে। ইলিশ মাছের মধ্যে পটল দেওয়াতে খেতে বেশ ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।