সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে আফগানিস্তানের ঐতিহাসিক ওয়ানডে ম্যাচ জয়।

in আমার বাংলা ব্লগyesterday

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


গতকালকে আফগানিস্তান বনাম সাউথ আফ্রিকা ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো। এই দুটো দলের শক্তির এতটাই ব্যবধান যে ক্রিকেট বিশ্বের খুব একটা বেশি মনোযোগ ছিল না এই ম্যাচের দিকে। কিন্তু আফগানিস্তান তাদের পারফরম্যান্স দিয়ে দুই দলের ব্যবধান যে এইভাবে ঘুচিয়ে দেবে সেটা কেউ ঘুনাক্ষরেও বুঝতে পারেনি। এদিন টসে জিতে সাউথ আফ্রিকা প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। সাউথ আফ্রিকার ওপর ওপেনাররা ব্যাটিংয়ে নামার পর প্রথম তিন ওভারের আগ পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক ভাবেই চলছিলো। কিন্তু তারপর থেকে শুরু হয় আফগানিস্তানের নিজেদের শক্তি প্রদর্শন। তৃতীয় ওভারের শেষ বলে সাউথ আফ্রিকা তাদের প্রথম উইকেট হারায়। তখন স্কোরবোর্ডের রান উঠেছে মাত্র ১৭। সাউথ আফ্রিকান ওপেনার রেজা হেনরিক্স ১২ বলে নয় রান করে ফারুকির বলে আউট হয়ে যান। তারপর থেকেই শুরু হয় সাউথ আফ্রিকান ব্যাটসম্যানদের আসা যাওয়ার মিছিল।

IMG_20240919_154149.jpg

স্ক্রিনশট নেয়া হয়েছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের ইউটিউব চ্যানেল থেকে

দেখতে দেখতে দশ ওভারের ভেতরে মাত্র ৩৬ রানে সাউথ আফ্রিকা তাদের সাত উইকেট হারিয়ে বসে। এক প্রান্ত থেকে উইয়ান মুল্ডার হাল ধরে রাখলেও অপর প্রান্তের ব্যাটসম্যানেরা আসা যাওয়ায় ব্যস্ত ছিলো। তবে ৭ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরে মুলডারের সাথে ফর টুইন এর ৩৯ রানের একটা পার্টনারশিপ গড়ে ওঠে। দলীয় ৭৫ রানে ফরটুইন আউট হয়ে গেলে মুলডার এর সাথে যোগ দেন ন্যানদ্রে বার্গার। মুল্ডারের সাথে বার্গারের ৩০ রানের একটি পার্টনারশিপ গড়ে ওঠে। মূলত এই দুটো পার্টনারশিপের উপর ভর করে সাউথ আফ্রিকা ১০০ রানের গণ্ডি পার হয়। শেষ পর্যন্ত সাউথ আফ্রিকা ৩৩ ওভার তিন বলে ১০৬ রানে অলআউট হয়ে যায়। এদিন উইয়ান মুল্ডার বায়ান্ন রান করেন। তিনি ছাড়া সাউথ আফ্রিকার আর কোন ব্যাটসম্যান উল্লেখযোগ্য কোনো রান করতে পারেনি।


জবাবে ব্যাটিং করতে নেমে আফগানিস্তান প্রথমেই তাদের একটি উইকেট হারিয়ে বসে। আফগানিস্তানের ওপেনার রহমাতুল্লাহ গুরবাজ শূন্য রানে আউট হয়ে যান। এক পর্যায়ে আফগানিস্তান ৩৮ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বসে। তখন হয়তো অনেক আফগান সমর্থক দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলো। অনেকেই চিন্তা করছিল হয়তো এই রানেই সাউথ আফ্রিকা ম্যাচ জিতে যাবে। তারপরে শাহিদী এবং আজমত উল্লাহর ভেতরে ২২ রানের একটি পার্টনারশিপ গড়ে ওঠে। দলীয় ৬০ রানে হাসমতউল্লাহ শাহিদী আউট হয়ে গেলে ব্যাটিং করতে নামেন গুলবাদিন। গুলবাদিন আজমাতুল্লাহর সাথে বিয়াল্লিশ রানের একটি পার্টনারশিপ গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন।

আর এরই মাধ্যমে সাউথ আফ্রিকা ম্যাচটি ছয় উইকেটে হেরে যায়। ফজল হক ফারুকী তার দুর্দান্ত বোলিংয়ের জন্য ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন। এটা ছিলো সাউথ আফ্রিকার বিরুদ্ধে আফগানিস্তানের প্রথম বিজয়। আফগানিস্তান ক্রিকেট দল যে প্রতিনিয়ত দারুণ উন্নতি করে চলেছে এই জয় তারই একটি উদাহরণ। এখন দেখা যাক বাকি ওয়ানডে ম্যাচগুলোতে তারা কেমন করে।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।



logo.png



PUSS_Banner2.png



Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

standard_Discord_Zip.gif


break .png

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok

Sort:  

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



Hi @rupok,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

 yesterday 

আসলে আফগানিস্তান দলটা ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি বেশ ভালোই খেলে। এতো অল্প রানে ওয়ানডে ম্যাচে সাউথ আফ্রিকার মতো দলকে অলআউট করে দেওয়াটা বেশ কঠিন। ফারুকীর বোলিং দেখতে আমার খুব ভালো লাগে। আফগানিস্তান হয়তোবা এই সিরিজটা জিততেও পারে। যাইহোক এই ম্যাচের রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।