লাইফ স্টাইল || কলেজ মোড়ে বিশেষ একটি কাজে যাওয়া

in আমার বাংলা ব্লগ3 days ago

নমস্কার,

তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও ভালো আছি।

বন্ধুরা, আজকের নতুন একটি ব্লগে তোমাদের সবাইকে স্বাগতম। আজকে লাইফস্টাইল রিলেটেড একটি ব্লগ তোমাদের সামনে হাজির করলাম। আজ দুপুরের দিকে আমি কলকাতার কলেজ মোড়ে গেছিলাম তাই নিয়েই কিছু কথা এখানে শেয়ার করবো। আজ সকাল দশটার দিকে ঘুম থেকে উঠেছিলাম আমি। ঘুম থেকে উঠার পর আমার এক বন্ধু আমাকে ফোন করে বলে, তার কলেজ মোড়ে জবের ইন্টারভিউ রিলেটেড একটি কাজ রয়েছে তাই তার সাথে একটু যাওয়ার জন্য। আর সে সেই জায়গাটা ভালো করে চেনেও না। সেজন্যই আমাকে রিকোয়েস্ট করেছিল। যেহেতু আজকে একটু বেশি গরম পড়েছিল তাই প্রথমে ভেবেছিলাম তাকে না করে দেবো যে আমি যেতে পারব না । পরবর্তীতে ভাবলাম সে যখন চিনতেই পারে না জায়গাটা তাই তার সাথে যাই, গেলে তারও একটু উপকার হবে।

20240918_132826.jpg

20240918_132656.jpg

সেই ভাবনা থেকেই তাকে হ্যাঁ বলে দেই। যাইহোক, দুপুরের দিকে ইন্টারভিউ ছিল সেই জন্য আমি তাড়াতাড়ি করে ফ্রেশ হয়ে নিই এবং তাকেও ফ্রেশ হয়ে নিতে বলি। এরপর দুইজনে আমাদের নিকটবর্তী স্টেশন থেকে চলে যাই বিধাননগরে। আসলে সেখানে যেতে হলে প্রথমে বিধাননগরের ট্রেনে যেতে হয়। তারপর সেখান থেকে অটো করে যেতে হয় কলেজ মোড়ে। এই পথাটা অনেকটাই দূরের ছিল। বিধান নগর থেকে অটো করে সেই পর্যন্ত পৌঁছাতে এক একজনের কাছ থেকে ৩০ টাকা করে নিয়েছিল। তার মানে বুঝতেই পারছো কতটা দূরের পথ। যাইহোক, দুপুরের সময় আঁকানো বাঁকানো রাস্তা ঘুরে ঘুরে পৌঁছে যাই আমরা কলেজ মোড়ে।

20240918_132824.jpg

20240918_132828.jpg

কলেজ মোড়ে গিয়ে যেখানে তার জব ইন্টারভিউ ছিল, সেই জায়গাটার খোঁজ করতে থাকি। আসলে সেই নির্দিষ্ট জায়গাটা আমারও জানা ছিল না। তারপর কয়েকজন লোকের কাছে শুনে শুনে মেইন জায়গাটা খুঁজে পাই। তারপর তাকে সেই অফিসে পৌঁছে দিয়ে এসে আমি কলেজ মোড়ে পুনরায় চলে আসি। তাকে অফিসে পৌঁছে দিয়ে আমার বিশেষ কোনো কাজ ছিল না। তাই আশপাশে একটু ঘোরাঘুরি করছিলাম। আর যেহেতু তার ইন্টারভিউ মোটামুটি ১ ঘণ্টার মধ্যে শেষ হয়ে যাবে, তারপর তার সাথে পুনরায় বাড়ি চলে আসবো, এরকমটাই প্ল্যান করেছিলাম।

20240918_132829.jpg

20240918_132831.jpg

সেই সময় যেহেতু অন্য কোন কাজ ছিল না তাই কলেজ মোড়ের আশেপাশে ঘোরাঘুরি করে কিছু ফটোগ্রাফি করি এবং হালকা পাতলা একটু খাওয়া-দাওয়াও করে নিই। বাড়ি থেকে খেয়ে গেছিলাম তারপরও সেখানে একটু চা, একটু চিপস, এসব খেয়েছিলাম। ঘন্টাখানেক যেতে না যেতেই সে ইন্টারভিউ থেকে বেরিয়ে আসে এবং জানায় যে তার ইন্টারভিউ বেশ ভালই হয়েছে। তাই জেনে আমি তো বেশ খুশি হই। পুনরায় দুই বন্ধু এই কলেজ মোড়ের আশেপাশে একটু ঘুরে দেখি। কারণ সে যখন ইন্টারভিউ দিতে গেছিলো সে এই কলেজ মোড়ের আশেপাশের জায়গা গুলো দেখার সুযোগ পায়নি। আর যদি তার সেখানে চাকরির ব্যবস্থা হয় তাহলে তার এই জায়গাটা পরিচিত থাকলে ভালো হবে। সেই জন্যই তাকে নিয়ে এই জায়গাটা ঘুরি।

20240918_132833.jpg

20240918_132823.jpg

20240918_132700.jpg

আসলে এই জায়গাটাতে আমি আগেও কয়েকবার এসেছি। এইজন্য এই জায়গাগুলো মোটামুটি চিনতাম। তবে পুরোপুরি ভালো করে চিনি সেটা বলবো না। যাইহোক, এভাবেই দুই বন্ধু আমরা আরও ঘন্টাখানেক সময় এখানে কাটাই। আজকের দিনে বেশ গরম ছিল, সূর্যের তাপও ছিল অনেক বেশি সেই জন্য বেশি সময় বাইরে থাকতে পারছিলাম না। তারপর দুই বন্ধু পুনরায় এখান থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করি। এবার আসার সময় আমরা বাসে করেই বিধান নগরে নেমেছিলাম। তারপর সেখান থেকে পুনরায় ট্রেনে করে আমরা আমাদের বাড়ির উদ্দেশ্যে চলে আসি।


পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীলাইফ স্টাইল
ডিভাইসSamsung Galaxy M31s
ফটোগ্রাফার@ronggin
লোকেশনকলেজ মোড় , কলকাতা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।
বন্ধুরা, আজকের এই ব্লগটি তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট এর মাধ্যমে জানিও । সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।

ধন্যবাদ সবাইকে






আমার পরিচয়

IMG_20220728_164437.jpg

আমি সুবীর বিশ্বাস( রঙিন)। কলকাতার বারাসাতে আমি বসবাস করি। আমি স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে আমার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিস এন্ড ফিসারিস সাবজেক্ট নিয়ে। বর্তমানে আমি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যানরত আছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে একটু শান্ত স্বভাবের । চুপচাপ থাকতেই বেশি ভালোবাসি আমি। নতুন নতুন জিনিস শিখতে আমার খুব ভালো লাগে। মাঝে মাঝে আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা, রেসিপি করা , গল্প লেখা আমার বেশ ভালো লাগে। আমি স্টিমিটকে অনেক ভালোবাসি এবং সব সময় স্টিমিটে কাজ করতে চাই।

🌷🌷 সমাপ্ত 🌷🌷

cio98SvSTP7QaiU3Xg73FheCLc8G566BypsFZSuwnyhJ2vi1d2fLSThpwt2y3LTW9wRFUm1GD9mXqYaiaKJMgAnwad8qT68WuEwJ3NYkkQ...T2xhWCoP1Ko5bD39LDXCLZJWtRQvqtSrG3pQfjrJGyjFH2izH6eQpSa8u3DEp5zZCA5EYDAy4FDmnQyrM3THLapKCDCFiRJkJXzs7GjZkyJoMwz9rytmL1UJV.webp

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 3 days ago 

কলেজ মোড়ের কাজে গেছেন। আর সেখান থেকে বেশ অনেক সুন্দর ফটো ধারণ করে আমাদের দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন স্থানটা। পাশাপাশি আপনার কাজের মুহূর্তটা তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। বেশি ভালো লাগলো সুন্দর একটা ব্লগ দেখে আর কিছু ধারনা পেয়ে।

 3 days ago 

আমার শেয়ার করা এই ব্লগ টি যে আপনার কাছে ভালো লেগেছে তা জেনে খুব খুশি হলাম আপু আমি। ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার এই মন্তব্য টি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 3 days ago 

আসলে কেউ প্রয়োজনে কোথাও যেতে বললে সহজে না করা যায় না। আমি সেটা একেবারেই পারি না। যাইহোক আপনার বন্ধু যেহেতু জায়গাটা চিনে না,আপনি সাথে গিয়ে ভালোই করেছেন। আপনার বন্ধুর চাকরির ইন্টারভিউ ভালো হয়েছে, এটা জেনে খুব ভালো লাগলো। কলেজে মোড় জায়গাটা দেখে খুব ভালো লাগলো। বেশ ভালোই ফটোগ্রাফি করেছেন। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 3 days ago 

আপনার এই মন্তব্যটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনাকে। ভালো লাগলো ভাই, আপনার এই মন্তব্যটি পড়ে।

 3 days ago 

ভাই আপনার পোস্ট পড়ে জানতে পারলাম আপনার ইন্টারভিউ ছিল যে কারণে আপনাকে কলেজের মোড়ে যেতে হয়েছিল। তাছাড়া আমাদের এমন প্রয়োজনে কাজে যেতেই হয়। যদিও আজকে অনেকটা গরম পড়েছে, তারপরেও দুপুর বেলায় বিশেষ কাজে কলেজ মোড়ে গিয়েছেন ৩০ টাকা ভাড়া নিয়েছিল জানতে পারলাম। সত্যি পথটা অনেকটা দূরে বোঝা যাচ্ছে। যাইহোক সবমিলিয়ে সঠিক সময় উপস্থিত হতে পেরেছেন এটাই ভালো। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

 3 days ago 

ভাই আপনার পোস্ট পড়ে জানতে পারলাম আপনার ইন্টারভিউ ছিল যে কারণে আপনাকে কলেজের মোড়ে যেতে হয়েছিল।

আমার ছিল না ভাই। আমার এক বন্ধুর ছিল, সেই কারণেই গেছিলাম সেখানে।

 18 hours ago 

যাইহোক আপনার বন্ধুর সঙ্গে সেই কলেজ মরে গিয়ে তার ইন্টারভিউয়ে রেখে। আপনি আবার কলেজ মোড়ে এসে ঘোরাঘুরির ফাঁকে ফটোগ্রাফিগুলো করেছেন যার প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি আসলে অসাধারণ হয়েছে কারণ নীল আকাশ এবং প্রকৃতি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।