[ফোটোগ্রাফি পোস্ট] প্রোফেসর শঙ্কু পার্কে একদিন : পর্ব - ০৬ [শেষ পর্ব]steemCreated with Sketch.

in আমার বাংলা ব্লগlast year


আজকে শেয়ার করতে চলেছি আমার "প্রোফেসর শঙ্কু পার্ক" ঘোরার শেষ পর্বের ফোটোগ্রাফি । ষষ্ঠ এবং শেষ পর্বে এই পার্কের ষষ্ঠ অংশের ফোটোগ্রাফি তুলে ধরছি আজ । পিরামিড আকৃতির মহাকাশ যানের ঠিক পিছন থেকে এই অংশের শুরু । এই অংশটি আবার দু'টি অংশে বিভক্ত । একটা হলো "Solar System Place" এবং আরেকটি হলো "Wall Art Place" ।

সোলার সিস্টেম প্লেসটা দারুন । বিশাল একটা তোরণ পেরিয়ে ঢুকতে হয় এখানে । অনেকগুলি বসার জায়গা ঘিরে বেশ কয়েকটি অনুচ্চ স্তম্ভের মাথায় গোলাকার অনেকগুলি মাঝারি সাইজের বল । বলের ভিতরে লাইট । প্রতিটা বলের গায়ে আঁকা রং দেখে সেগুলো আমাদের সোলার সিস্টেমের কোন কোন প্ল্যানেট সেটা খুব সহজেই বোঝা সম্ভব ।

এখানে পুব দিকের পাশটায় অনেক গাছ পালা, ফুলের ঝোপ ঝাড় আছে । তবে এই স্থানে লাইট খুবই কম । সে জন্য এই স্থানে প্রেমিক প্রেমিকাদের ভীড় চোখে পড়ার মতো । প্রতিটা ঝোপ ঝাড় আর গাছ পালার আড়ালের বেঞ্চি দখল এদের দ্বারা । সাধ্য কি তাদের সামনে যাওয়ার । সব বেসামাল হয়ে রয়েছে জড়াজড়ি করে । বিশাল অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়েছিলাম আমরা এখানে । তবে যাদের দেখে লজ্জা পেয়েছিলাম আমরা তারা কিন্তু একদম নির্লজ্জ, নির্বিকার ।

যাই হোক জায়গাটা একটু দ্রুত পায়ে পেরিয়ে গেলেই "Wall Art Place" টা পড়বে । এটাই শেষ পার্কের । এখানে টিনের শেড দেওয়া লম্বা টানা একটা জায়গা রয়েছে । পেছনে লম্বা দেওয়াল । দেওয়ালে অনেকগুলি বিশালকায় ছবি আঁকা রয়েছে । এই ছবিগুলো সবই হাতে আঁকা এবং প্রোফেসর শঙ্কুর বিভিন্ন কাহিনী থেকে তুলে আনা বিভিন্ন সব ঘটনার চিত্র । এখানেও অনেক গুলি গাছের নিচে বসার জায়গা আছে । জায়গাটা সুন্দর । নিরিবিলি সান্ধ্য সময় উপভোগ করার যথার্থ একটি প্লেস ।


সোলার সিস্টেম প্লেসে প্রবেশের তোরণ ।

তারিখ : ২৭ আগস্ট ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৭ টা ১০ মিনিট
স্থান : প্রোফেসর শঙ্কু পার্ক, কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


এখানে দু'টি প্ল্যানেটের ছবি দিলাম । দেখুন তো চিনতে পারেন কি না ! প্রথমটি শনি আর দ্বিতীয়টি মঙ্গল গ্রহ ।

তারিখ : ২৭ আগস্ট ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৭ টা ১৫ মিনিট
স্থান : প্রোফেসর শঙ্কু পার্ক, কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


দেওয়াল চিত্র । প্রোফেসর শঙ্কুর কাহিনী "কম্পু" থেকে নেওয়া একটি ঘটনার চিত্র । এই কম্পু কাহিনীতে সত্যজিৎ সর্বপ্রথম আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে কেন্দ্র করে কল্পবিজ্ঞান রচনা করেন ।

তারিখ : ২৭ আগস্ট ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৭ টা ২০ মিনিট
স্থান : প্রোফেসর শঙ্কু পার্ক, কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


দেওয়াল চিত্র । প্রোফেসর শঙ্কুর কাহিনী "প্রোফেসর শঙ্কু ও চি চীঙ " থেকে নেওয়া একটি ঘটনার চিত্র ।
তারিখ : ২৭ আগস্ট ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৭ টা ২০ মিনিট
স্থান : প্রোফেসর শঙ্কু পার্ক, কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


দেওয়াল চিত্র । প্রোফেসর শঙ্কুর কাহিনী "আশ্চৰ্য প্রাণী " থেকে নেওয়া একটি ঘটনার চিত্র । এই কাহিনীতে ল্যাবরেটরীতে সর্বপ্রথম কৃত্রিম প্রাণের সৃষ্টি করতে সমর্থ হন শঙ্কু ও বিজ্ঞানী বোল্ট ।
তারিখ : ২৭ আগস্ট ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৭ টা ২০ মিনিট
স্থান : প্রোফেসর শঙ্কু পার্ক, কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


দেওয়াল চিত্র । এই চিত্রটি চিনতে পারিনি । খুব সম্ভবতঃ "মানরো দ্বীপের রহস্য" হবে ।
তারিখ : ২৭ আগস্ট ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৭ টা ২০ মিনিট
স্থান : প্রোফেসর শঙ্কু পার্ক, কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


পার্কে ভ্রমণ শেষ । এবার ঘরে ফেরার পালা আমাদের ।
তারিখ : ২৭ আগস্ট ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৭ টা ৩০ মিনিট
স্থান : প্রোফেসর শঙ্কু পার্ক, কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ


------- ধন্যবাদ -------


পরিশিষ্ট


আজকের টার্গেট : ৫৫৫ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 555 trx)


তারিখ : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

টাস্ক ৩৭৫ : ৫৫৫ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron


আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx

৫৫৫ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :

TX ID : a92e795ef9c890b84116704999bdb4a4daea33e13697014407df38fed2dfaafa

টাস্ক ৩৭৫ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি


এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তো যে কোনো এমাউন্ট এর টিপস আনন্দের সহিত গ্রহণীয়

Account QR Code

TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx (1).png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png


steempro....gif

Sort:  
 last year 

দাদা পার্কের মধ্যে যে জিনিষ গুলো দেখলাম সে গুলো থেকে দেয়ার চিত্র গুলো দারুন লেগেছে। তাছাড়া শনি আর মঙ্গল গ্রহ দেখেও খুব ভালো লাগলো। প্রথম দিনের পর্ব পড়ে ভেবেছিলাম হয়তো ছোট খাটো একটা পার্ক হবে। যেখানে তেমন কিছু নেই। এখন দেখছি পার্কের ভিতর অনেক কিছু আছে। অনেক তথ্যও জানতে পারলাম। ধন্যবাদ।

 last year 

প্রিয় দাদা, প্রোফেসর শঙ্কু পার্ক ভ্রমণের ষষ্ঠ পর্বের ফটোগ্রাফি পোস্টটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। বিশেষ করে শনি ও মঙ্গল গ্রহের ফটোগ্রাফি এবং দেওয়াল চিত্রের চমৎকার ফটোগ্রাফি এবং বর্ণনাগুলো আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। দারুন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য প্রিয় দাদা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last year 

পার্কে যেভাবে প্রেমিক-প্রেমিকারা সময় পাস করে এদের দেখলে বিবর্তকর অবস্থায় পড়তে হয় মাঝে মাঝে। যাক, দাদা মঙ্গল আর শনির প্লেনেট দুটি সুন্দর লাগছে। পুরো আগুন হয়ে আছে যেন শনি। প্রফেসর শঙ্কু কাহিনী থেকে বেশ কিছু চিত্রকর্ম দেখলাম। টিনটিন বাবু উপভোগ করেছে হয়তো 🌼🌼

 last year 

প্রফেসর শঙ্কু পার্কের শেষ পর্বের ফটোগ্রাফি পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লেগেছে দাদা।বৌদিকে কিউট লাগছে অনেক।প্ল্যানেট এর ফটোগ্রাফি গুলো সুন্দর হয়েছে।আর এই প্ল্যানেট আমি আজকেই প্রথম দেখলাম আপনার পোস্টের মাধ্যমে দাদা।দেয়াল চিত্র গুলোও চমৎকার লাগছে দেখতে।ধন্যবাদ আপনাকে দাদা সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

প্রফেসর শঙ্কু পার্কের ফটো গুলো দারুণ ছিল। সত্যি বলেছেন দাদা পার্কে কম লাইটে প্রেমিক-প্রেমিকাদের অভাব নেই। তবে ওদের যারা দেখে তারা লজ্জা পায় কিন্তু ওরা লজ্জা পায় না। তবে শনি ও মঙ্গল গ্রহ দেখতে পেয়ে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ দাদা পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

প্রথমেই বলি তনুজা আপুকে বেশি মিষ্টি লাগছে দেখতে।

প্রোফেসর শঙ্কু নামটা কেন যেন অদ্ভুত লাগছে। যাইহোক বিজ্ঞানীদের নাম এরকমই হয়। পার্ক এর বিভিন্ন কিছুর ছবি দেখলাম কিন্তু গ্রহ দুটি আমাকে মুগ্ধ করেছে।

 last year 

দাদা ঝোপে ঝাড়ে যদি লাইট কম থাকে তাহলে প্রেমিক-প্রেমিকার গল্পটা আরেকটু বেড়ে যায়। অবশ্য এগুলো কর্তৃপক্ষ নিজ ইচ্ছা করে এগুলো করে থাকে। কারণ এসব পার্কে যেন অধিক এসব মানুষজন আসতে পারে সেটা এই ব্যবস্থার মূল মন্ত্র। দাদা দুটো গ্রহের ছবি দিয়েছেন এই ছবি দুইটা দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। কিছু বিবৃতিকর অবস্থা ছাড়া সবমিলিয়ে বেশ ভালো কাটিয়েছেন ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

পরিবার নিয়ে পার্কে যেতে আসলেই ভয় লাগে। কারণ বিব্রতকর অবস্থায় পরতে হয় অনেক সময়। একসময় পরিবারের সবাই মিলে টিভি দেখতে লজ্জা পেতাম। কখন কি দৃশ্য এসে যায় বলা মুশকিল। যাইহোক ৬টি পর্ব দারুণ উপভোগ করেছি দাদা। সোলার সিস্টেম প্লেস টা আসলেই চমৎকার। এই পর্বে বলের ভিতরে লাইট দেখে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। যাইহোক বরাবরের মতো এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

 last year 

ধন্যবাদ দাদা আপনাকে। আপনি খুব সুন্দরভাবে ধাপে ধাপে প্রোফেসর শঙ্কু পার্কের ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করলেন। আজ ষষ্ঠ বা শেষ পর্বটি দেখতে পেলাম।ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার লেগেছে।দেওয়াল চিত্র গুলো ও আপনি খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। বেশ লাগলো দাদা।অনেক অভিনন্দন জানাই আপনাকে।