একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না।
আমি @rahimakhatun
from Bangladesh
|
---|
কথায় আছে সাবধানতার মাইর নেই। জীবনে চলার পথে আমার অনেক অসাবধানতার বসে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে যায়। তাই বলে সাবধানতা মাইর নেই। তাই সব সময়ই সাবধানতা থাকতে বলা হয়।যদিও অনেক সময় সাবধনতার পরে বিপদ ঘটে যায়। তাও সাবধানতা থাকা ভালো।কথাটা আসলে এমনি এমনি বলা হয়নি,কারন আমার ভাইয়ের মেয়ে পাঁচ বছর বয়স।
বেশ চটপটে,ও খেলছিলো আমারা পাশেই ছিলাম।সোফায় উঠে জুলছিলো।হঠাৎ পরে যেয়ে ব্যাথা পায়।অথচ আমরা সামনে ছিলাম,কিন্তু ধরতে পারিনি।যাই হোক ভেবেছি সামান্য ব্যথা পেয়েছে।পরে দেখি ওর পুরো জামির এখানে কেটে প্রায় দুইভাগ হয়ে গিয়েছে। যার জন্য সেলাই লাগবে।তাড়াতাড়ি করে হাসপাতালে নিয়ে ওটিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কারন কেটে পুরো ঝুলে গিয়েছে। পরে আরকি সে কি কান্না সেলাই ওর সময় আমি একেবারে সামনেই থাকতে পারিনি।
আসলে ওর মা ওকে এত সাবধানে রাখে তারপর কি থেকে কি হয়ে গেলো, আমি এই সব ভীষন ভয় পাই।আমার ছেলেটাও বেশ লাফায়। এখান থেকে লাফ দেয় আবার ঐখান থেকে ও লাফ দেয়।কোন ভাবেই তাকে ধমাতে পারিনা এজন্য অনেক মাইর মারি তাকে,কিন্তু কিসের কি কোন লাভ নেই।সেই দিন আমার খালা ঘর মুছতাছিলো ও লাফ দিয়ে পিছলিয়ে পরে ঠোঁট কেটে খুব খারাপ অবস্থা। আসলে আমরা বড়রা যতই সাবধানে থাকতে বলি না কেন তারা কিন্তু কোন ভাবেই মানতে চায় না।
আমি নিজেও এই সব ব্যাপারে সাবধানে থাকার চেষ্টা করি তাই হয়তো সমস্যাটাও কম হয়।তারপরও সমস্যা হয়ে যায়। এই তো কিছুদিন আগে মেয়ের গরম খিচুরী পরে মুখ এবং গলা বেশ পুড়ে যায়।কিভাবে যে কি হলো বুঝতেই পারিনি।আসলে বিপদ আসলে শত সাবধানে থাকলেও আসে।যেই কথাগুলো জন্য আসলে এগুলো বলা তার মূল হচ্ছে। আমার কাজিনের বাচ্চা।আমার ফুফাতো ভাই দেশের বাহিরে থাকে।তার একটা ছেলে এবং একটা মেয়ে।মেয়েটার বয়স তিন বছর হবে।বেশ আদরের। গ্রামে থাকে কিন্তু সন্তানদের কারনে বেশ সুন্দর করে বাড়িঘর তৈরি করেছে।যেন বাহিরে যেতে না হয়।
আসলে মেয়েটা অনেক সমস্যার মধ্যে দিয়ে হয়েছে।আমার কাজিনের ওয়াইফ এর মরা বাঁচার মধ্যে দিয়ে এই পিচ্ছিটা হয়েছিলো।যাই হোক কত যত্ন করে এবং আদর করে মেয়ে টাকে বড় করছে।কোন বায়না করলে তা পূরন করে। গ্রামে থেকেও শহরের মত করে রাখতো মেয়েটাকে।কাজিন বিদেশ থেকে দুইমাসের ছুটির জন্য এসেছিলো এই মেয়ের জন্য অনেক দিন ছুটি বারিয়ে সেই দিন বিদেশ গেলো।বিদেশ যাওয়ার প্রায় একমাসের মাথায় মেয়ে যদি পানিতে পরে মারা যায়।কথাগুলো লিখতে যেয়ে শরীরের পশম দাড়িয়ে যাচ্ছে। ওর মা পাশের বাসায় গিয়েছিলো মেয়েকে নিয়ে তারপর কথা বলতেছিলো মেয়েটা খেলছিলো।
হঠাৎ করে দেখে নাই। নাই নাই বলে খুঁজ তেছে।পরে দেখে দুই বাড়ির পরে পুকুরে মারা গিয়েছে, অথচ সামনেই পুকুর ছিলো।বেশ খারাপ লাগছিলো এই ঘটনা টা শুনে।আসলে মানুষের জীবনে কখন কি ঘটে তা একমাত্র আল্লাহ জানে।আমার কাজিন তো কাঁদতে কাঁদতে শেষ তার ওয়াইফের ও বেশ খারাপ অবস্থা। আসলে যার চলে যায় সেই বুঝে।আসলে হয়তো তাকে সান্ত্বনা দিতে পারবো কি ভিতরে যে কি চলছে সেই জানে।তার কত কষ্টের বিনিময়ে সৃষ্টিকর্তা তাকে একটি কন্য সন্তান দান করেছিলো আবার সেটা নিয়ে ও গেলো।
আজ আর নয় ,আবার এসব অন্য কোনদিন অন্য কোনো পোস্ট নিয়ে। সেই অব্দি আপনারা ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সেই প্রত্যাশায়।
<
আসলে কখন যে কার মৃত্যু কিভাবে হবে কেউ জানে না। আর মৃত্যুর কোন নির্দিষ্ট বয়স নেই। দুর্ঘটনার শিকার মানুষ যেকোন মুহূর্তে হতে পারে। তবুও তার মধ্য দিয়ে নিজেদেরকে সজাগ ভাবে জীবন যাপন করতে হবে। অসচেতন মানুষগুলোকে সচেতন করতে হবে। প্রত্যেকটা পিতা মাতায় তার সন্তানকে অধিক ভালোবাসে এবং কোন কিছু আবদার করার সাথে সাথে পূরণ করার চেষ্টা করে সাধ্য অনুসারে। খুব সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং বাস্তবতা তুলে ধরেছেন আশা করি অনেকেই পড়বে এবং যথেষ্ট ধারণা লাভ করবে।
আসলে দুর্ঘটনা কখন ঘটে যায় বোঝা মুশকিল। বাচ্চাদেরকে খুবই সাবধানে রাখতে হয়। আপু আপনার ভাইয়ের মেয়ের এরকম দুর্ঘটনার কথা শুনে খারাপ লাগলো। আর একজন তো পুকুরে ডুবে মারা গেছে এটা শুনে আরো বেশি খারাপ লাগছে। বাচ্চাদেরকে সাবধানে রাখবেন আপু।