এক জীবনে তফাৎ কত!

আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।

IMG_0378.jpeg

made by canva

আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।

আজকে সোশ্যাল মিডিয়ার একটা পোস্ট দেখে নিজের অজান্তেই কেমন একটা খারাপ লাগা কাজ করেছে নিজের মধ্যেই। তাই ভাবলাম নিজের খারাপ লাগাটাই আপনাদের সামনে উপস্থাপনা করি।আসলে খুব সামান্য একটা পোষ্ট ছিলো সেটা। কিন্তু খারাপ লাগাটা ছিলো অনেক বেশি। আসলে পোস্টটাতে একটা ছবি ছিলো এবং ছবিটাতে শুধুমাত্র ছিলো,একটা বিল্ডিংয়ে একটা মেয়ে একটা খেলনা হাতে অনেক খুশি মনে দাঁড়িয়ে আছে। আর তার নিচে ডাস্টবিন থেকে ওই খেলনাটির বক্স হাতে নিয়ে একটা বাচ্চাও অনেক বেশি খুশি হয়ে দাঁড়িয়ে আছে,ওই বক্সটি হাতে নিয়ে। অর্থাৎ বুঝাই যাচ্ছে যে, রাস্তায় যে অনাথ শিশুগুলো ছিলো, সে ছিলো তার মধ্যে একজন।

আচ্ছা আপনারা কি কেউ বুঝতে পেরেছেন, এই পোস্টটিতে আসলে কি বুঝানো হয়েছে? এই পোস্টটিতে আসলে বোঝানো হয়েছে যে, জীবন একেকজনের কাছে একেক রকম করে ধরা দিয়েছে। অর্থাৎ কেউ কোনো জিনিস পেয়ে খুশি থাকলেও, অনেকে সেই জিনিসটি শুধুমাত্র দেখেই খুশি থাকছে। এটার নামই কিন্তু নিয়তি। অর্থাৎ ভাগ্য আমাদেরকে কিভাবে কোনো পথে নিয়ে যায় কিংবা আমাদের তার জীবন কেমন হয় আমরা, কেউ সেটা বলতে পারি না।

ঠিক তেমনটাই ওই বাচ্চা দুটোর ক্ষেত্রেও ঘটেছে। আর এই ব্যাপারটা দেখেই আসলে খারাপ লেগেছে। কারণ এই যে কিছু ফুটফুটে বাচ্চার মনের মধ্যেও জীবনের সংজ্ঞার তফাৎটা অনেক বেশি স্পষ্ট ভাবে বোঝা যায়। হয়তো তারা অনেক সময় এই তফাৎটা খুব সহজেই ধরতে পারে না। কিন্তু জীবন আমাদেরকে সে সময়টাও দেয় না।

এই ব্যাপারটাই আসলে আমার খারাপ লেগেছে। কারণ আমার কাছে মনে হয় যে, অন্তত ছোট বাচ্চাগুলোর জীবনে সব সময় ভালো থাকার অধিকার আছে।।তাদের মনে এই বৈষম্যটা না ঢুকালেই আমরা পারতাম। কিন্তু আমরা যতো দিন যাচ্ছে, ততোই অনেক পাষাণ হয়ে যাচ্ছি। যতোটা পাষাণ হলে দুটো বাচ্চার মনের মধ্যেও আমরা আলাদা নেগেটিভ প্রভাব বিস্তার করতে পারি, আলাদা কষ্ট হয়ে!