আবোল তাবোল জীবনের গল্প [ প্যাটার্ন ]
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি ভালো আছি এবং সুস্থ থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি। যদিও মাঝে হঠাৎ করে একটু অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম, অবশ্য মাঝে মাঝে এমন অসুস্থ হওয়াটাকেও আমি ভালো হিসেবেই দেখি। তাতে কাছের মানুষদের একটু বাড়িত যত্ন করার সুযোগ পেলে এবং আমারও একটু এক্সট্টা যত্ন পাওয়ার সুযোগ হয়ে যায়, হি হি হি। না না না আবার ভাবিয়েন না যে এই জন্য আমি ইচ্ছে করেই অসুস্থ হয়ে যাই, আপনারা তো আবার অনেক কিছুই ভেবে বসে থাকেন। আমি মোটেও সেই রকম না, জাস্ট আমার মতো হি হি হি। তবে হ্যা, আলহামদুলিল্লাহ এবার একটু দ্রুতই ঠিক হয়ে গেছি, অফিস কামাই দিতে হয় নাই। আর যাইহোক, আমি সহজেই অফিস কামাই করতে চাই না, কারন পরবর্তীতে আমার কাজগুলো আমাকেই করতে হয়।
এবার আসি মুল প্রসঙ্গে, প্যাটার্ন এর একটা বিষয় আমি গত আড্ডায় তুলেছিলাম যদিও খুব বেশী কথা বলতে পারি নাই যেহেতু আমরা একাধিক ইউজার সেদিন স্টেজে ছিলাম। প্যাটার্ন আসলে কি? এটা হলো নিয়মিততা, আরো সহজভাবে বললে সেটা হলো নিয়ম পালনকারী। যেটা একটা সময় আমাদের পরিবারে, সমাজে এবং চারপাশে দারুণভাবে বিস্তৃত ছিলো। আমরা সবাই কম বেশী সেই প্যাটার্ন এর সাথে সংযুক্ত ছিলাম। কিন্তু ধীরে ধীরে আমরা নিজেদের স্বার্থ নিয়ে সচেষ্ট হওয়ার কারনে কিংবা আত্মকেন্দ্রীক হয়ে যাওয়ার কারনে সেখান হতে সরে এসেছি অথবা সেটা তার নিজস্ব সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলেছে। তবে বাস্তব সত্যটা হলো আমরা শুধুমাত্র আত্মকেন্দ্রীক হওয়ার কারনে সেটা নষ্ট হয়ে গেছে।
যার প্রভাব না শুধু প্রভাব বললে ঠিক হবে না বরং কার কুপ্রভাব এখন আমাদের বাড়িতে বাড়িতে, পাড়ায় পাড়ায় এবং সমাজে দারুণভাবে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। আমরা অনাকাংখিত কিছু দেখলে আওয়াজ করে বলে ফেলি ওটা তার কারনে হয়েছে, সেটা অমুকের কারণে হয়েছে। খুব বেশী উচ্চবাচ্চ করি আমরা কিন্তু আসল বিষয়টি নিয়ে কখনো কথা বলি না কিংবা সেটা বুঝার চেষ্টা করি না। দেখুন যে কোন জিনিষের গঠন প্রণালী যখন নষ্ট হয়ে যায়, তখন সেটার দ্বারা ভালো কিছু প্রত্যাশা করা শুধুই নির্বুদ্ধিতা ছাড়া আর কিছুই না। আর সেই কাজটিই এখন আমরা খুব সুন্দরভাবে করে যাচ্ছি। দেখুন সহজভাবে যদি একটা উদাহরণ উপস্থাপন করি তাহলে বলতে হয়, একজন শিশু কিভাবে শেখে? সেও কিন্তু এই প্যাটার্ন ফলো করে নিজের মাঝে কৌতুহল তৈরী করে।
তারপর সেই কৌতুহল ধরেই সে এগিয়ে যায় এবং প্যাটার্ন ফলো করে নিজের শেখার পরিধি বৃদ্ধি করে। যখন সে এই প্যাটার্ন হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তখন কিন্তু সে আর আগ্রহী হয়ে উঠে না কিছু শেখার ক্ষেত্রে। তাকে যখন একটা ফল দিয়ে বলবেন বাবা এটা আপেল, তখন সে একটা প্যাটার্ন শিখে। তারপর হাতের কাছে যাই পায় বা যা কিছু দেখতে পায় তখন সেই জিনিষগুলো নাম জানার বিষয়ে তার মাঝে একটা আগ্রহ তৈরী হয়। বার বার সে প্রশ্ন করে বাবা/মা এটা কি? ওটা কি? এটা দিয়ে কি হয়? ওটা দিয়ে কি হয়? আগের দিনে বাবা/মা তাদের সন্তানদের সময় দিতেন এবং এই প্যাটার্নগুলো শেখার দারুণ সুযোগ তৈরী করে দিতেন। যেটা আমরা এখন আর করছি না বা করার চেষ্টা করছি না।
আমার স্পষ্ট মনে আছে, তখন অবশ্য আমি ব্লকচেইনের সাথে যুক্ত ছিলাম না, তাই অফিস শেষ করে এসে ছেলে কি নিয়ে বাহিরে চলে যেতাম রাতেই। প্রায় ঘন্টা খানেক তাকে নিয়ে বাহিরে থাকতাম। সে যেটাই দেখতো সেটা নিয়েই প্রশ্ন করতো, সেটা কি কাজে-সেটা দিয়ে কি করে? এই রকম অসংখ্য প্রশ্ন আমার প্রতি ছুড়ে দিতো। এই যে একটা প্যাটার্ন দেখে অসংখ্য কিছু জানার আগ্রহ তৈরী হওয়া এবং সেখান হতে নতুন কিছু শেখা সেই বিষয়টি এখন আর নেই। কারন বাবা/মা এখন যতটা সময় পান তার সবটুকুই হয় টিভি সিরিয়াল অথবা স্মার্টফোন দেখে কাটান। সন্তানদের নিয়ে বাহিরে যাওয়ার সুযোগ কই, আবার বাহিরে গেলেও সেখানে বসে সেই মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। শেখার সুযোগ এবং প্যাটার্ন এর অপমৃত্যু এভাবেই ঘটেছে।
Image taken from Pixabay
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Hi @hafizullah,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
Thank you so much, appreciated your support.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
একদম একদম।এই আত্মকেন্দিক মনোভাবের কারণে নষ্ট হচ্ছে সংসার,নষ্ট হচ্ছে বাচ্চারা সাথে সমাজ।আসলে বর্তমান সময়ে ঘরে ঘরেই এটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।সবার সাথে মিলেমিশে সবদিক বুঝেশুনে মানিয়ে নেয়াতে যতটা তৃপ্তি আছে সেটা এখন আর নেই।এখন অনেকেই নিজের স্বার্থ বুঝে চলে।বাচ্চারা আমাদের থেকেই শিখে। তারা সবসময় জানতে চায় বাবা মা বা পরিবারের কাছে। এজন্য সবারই উচিত সন্তানদের সময় দেয়া।পরিবারের ছোটদের নৈতিকতা শিক্ষা দেয়া এবং ভালো পরিবেশ গড়ে তোলা।
কয়জনই বা পারে এই টা,এখন শুধু স্বার্থপরের সংখ্যা বাড়ছে।
ঠিক বলেছেন, দেখুন আগের দিনের মানুষগুলো যৌথ পরিবার হিসেবে থাকতো এবং তারা সব কিছুতে অধিক আনন্দ উপভোগ করতো। কিন্তু আমরা একক বা আলাদা আলাদা থাকার পরও শান্তিতে থাকতে পারছি না, এটাই বাস্তবতা। ধন্যবাদ
এটা আসলেই সত্যি যে,মাঝেমধ্যে অসুস্থ হলে পরিবারের বাড়তি কেয়ার পাওয়া যায়। যাইহোক দিন যতই অতিবাহিত হচ্ছে, বাচ্চাদের সাধারণ জ্ঞান ততই কমে যাচ্ছে। কারণ এখনকার বেশিরভাগ অভিভাবকরা বাচ্চাদেরকে একেবারেই সময় দেয় না। বরং অবসর সময়ে নিজেরা মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকে এবং পাশাপাশি বাচ্চাদের হাতেও ভিডিও অন করে মোবাইল ধরিয়ে দেয়। এতে করে বাচ্চারা তেমন কিছুই শিখতে পারছে না। কিন্তু বাচ্চাদেরকে যদি সময় দেওয়া যায়,তাহলে কিন্তু তারা অনেক কিছুই শিখতে পারে। কারণ বাচ্চাদের মেমোরি শার্প থাকে। তাদেরকে কিছু বললে সেটা মনে রাখতে পারে। যাইহোক সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক সেই কামনা করছি। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
তাই বলে ইচ্ছে করে অসুস্থ হতে গিয়ে যদি ধরা পরেন তাহলে কিন্তু খবর আছে হি হি হি। হ্যা এটাই প্রত্যাশ সকলের শুভবুদ্ধির উদয় হোক। ধন্যবাদ
দারুন কিছু কথা শেয়ার করেছেন ভাইয়া।যার বাস্তব অভিজ্ঞতা আমরা আজকাল দেখতে পাই।মানুষ আমরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছি।নিজেরা যেমন ব্যস্ত হয়ে পরছি মোবাইল ফোনে।তেমনি বাচ্চাদের ও আকৃষ্ট করে ফেলেছি এই মোবাইলের প্রতি।এর থেকে বের হয়ে আসা জরুরী।আমাদের মাঝে শুভ বুদ্ধির উদয় হোক।আমাদের সন্তানেরা সাধারণ জ্ঞান নিয়ে বেড়ে উঠুক এই কামনাই করি।
নিজেদের ভবিষ্যত আমরা নিজেরাই নষ্ট করছি সামান্য একটু বিনোদনের ফাঁদে পড়ে, এখনই সচেতন না হলে আরো বেশী ক্ষতি হয়ে যাবে আমাদের। ধন্যবাদ
আপনার এই সিরিজটা আমার প্রিয়। কিন্তু প্যাটার্ন নামক হেডলাইন দেখে ভেবেছিলাম এডোবির কোন কোর্স করাবেন। 😅
যাক, পুরো গল্প আমার আবারও ভালো লেগেছে। আমাদের আসলে এসব নিয়ে সরব হতে হবে। এসব আমাদের সংস্কৃতির অংশ। আমরা এভাবেই বড় হয়েছি। আপনি লিখেছেন দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাই এমন টপিকে লেখার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য, না ভাই এডোবির সম্পর্কে খুব ভালো অভিজ্ঞতা নেই।
শিরোনাম দেখে ভেবেছিলাম আর কি!