"কামরাঙ্গার প্লাস্টিক চাটনি রেসিপি"
নমস্কার
কামরাঙ্গার প্লাস্টিক চাটনি রেসিপি:
আসলে বাঙালির দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় চাটনি একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় পদ।যেটা সব খাবার খাওয়ার শেষে পরিবেশন করা হয়।আর এটা ছাড়া খাওয়া যেন একেবারেই অসমাপ্ত ও অপরিপূর্ণ।খাওয়ার শেষে চাটনি রেসিপিগুলি মুখে রুচি যেমন বাড়িয়ে দেয় তেমনি পরিপূর্ণ স্বাদ গ্রহণ করতে সাহায্য করে।তাই আজ তৈরি করেছি আমাদের গাছের কামরাঙ্গা ফলের প্লাস্টিক চাটনি রেসিপি।এই রেসিপিটি গরমের দিনে খুবই ভালো লাগে খেতে।এটি তৈরির পর দেখতে যেমন অনেক সুন্দর ও লোভনীয় লাগছিলো তেমনি খেতেও দারুণ মজার হয়েছিল।আশা করি এই রেসিপিটি ভালো লাগবে আপনাদের কাছেও।তো কথা না বাড়িয়ে চলুন রেসিপিটি শুরু করা যাক----
উপকরণসমূহ:
2.চিনি- 1 কাপ
3.তেজপাতা - 2 টি
4.লবণ- 1/2 টেবিল চামচ
5.হলুদ-1/3 টেবিল চামচ
6.গোটা সরিষা-1 টেবিল চামচ
7.সরিষার তেল- 2 টেবিল চামচ
12.জল
প্রস্তুত-প্রণালী:
ধাপঃ 1
প্রথমে গাছ থেকে কিছু কামরাঙ্গা তুলে নিলাম।
ধাপঃ 2
এরপর কামরাঙ্গাগুলির ধারগুলি ভালোভাবে কেটে বাদ দিয়ে নেব।তারপর কেটে নেব পিচ পিচ করে কামরাঙ্গাগুলি।আমি এখন এগুলো জল দিয়ে ধুয়ে নিলাম।
ধাপঃ 3
এখন একটি পরিষ্কার কড়াই চুলায় মিডিয়াম আঁচে বসিয়ে নিলাম।তারপর পরিমাণ মতো সরিষার তেল দিয়ে নিলাম কড়াইয়ের মধ্যে।
ধাপঃ 4
এবারে তেজপাতা ও গোটা সরিষা দিয়ে দেব তেলের মধ্যে।ভাজা সরিষাগুলি পট পট আওয়াজে ফুটতে থাকবে।
ধাপঃ 5
এখন কেটে ধুয়ে রাখা কামরাঙ্গাগুলি দিয়ে দেব সরিষার মধ্যে।
ধাপঃ 6
এরপর পরিমাণ মতো লবণ ও হলুদ দিয়ে দেব কড়াইতে।
ধাপঃ 7
এখন ভালোভাবে মিশিয়ে নেব উপকরণগুলো খুন্তির সাহায্যে।
ধাপঃ 8
এবারে পরিমাণ মতো চিনি দিয়ে দেব।এখন চিনি গলতে শুরু করবে।
ধাপঃ 9
তো চিনি গলে জল হয়ে গেলে সবকিছুর সঙ্গে মিশিয়ে নেব।
ধাপঃ 10
এবারে পরিমাণ মতো জল দিয়ে কামরাঙ্গা সেদ্ধ করে নেব।
ধাপঃ 11
এখন একটি পাত্রে সেদ্ধ কামরাঙ্গা উঠিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 12
এবারে একটি গ্লাসের সাহায্যে গলিয়ে নেব সেদ্ধ কামরাঙ্গাগুলি।তারপর চাটনির সঙ্গে মিশিয়ে নেব।
শেষ ধাপঃ
সবশেষে চাটনিতে বলক চলে আসলে আমি চাটনি রেসিপিটি একটি পাত্রে তুলে নেব।
পরিবেশন:
তো তৈরি করা হয়ে গেল আমার কামরাঙ্গার প্লাস্টিক চাটনি রেসিপি।এটি দেখতে যেমন অনেক সুন্দর ও লোভনীয় লাগছিলো তেমনি খেতেও দারুণ মজার হয়েছিল।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।
টুইটার লিংক
0.00 SBD,
0.00 STEEM,
0.00 SP,
0.00 TRX
রেসিপিটা দেখিয়ে তো লোভ লাগিয়ে দিলেন দিদি। দেখে মনে হচ্ছে খেতে ভীষণ সুস্বাদু হয়েছে। কামরাঙ্গা দিয়ে কখনো এভাবে চাটনি তৈরি করা হয়নি। আপনি বেশ সুস্বাদু এবং লোভনীয় রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। গাছ থেকে কামরাঙ্গা পেড়ে এনে এটা তৈরি করেছেন দেখে ভালো লাগলো। ইউনিক একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
কামরাঙ্গার প্লাস্টিক চাটনি রেসিপি খুবই মজাদার ও ইউনিট লাগছে। আপনার এই রেসিপির পরিবেশনটা আমার কাছে দারুন লেগেছে। ধাপ গুলো দেখে শিখে নিলাম।
দারুণ তো নতুন একটা আইডিয়া পেলাম, এটার স্বাদ অবশ্যই চেক করে দেখবো। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
অবশ্যই চেক করে দেখবেন ভাইয়া, মজার খেতে।আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
কামরাঙ্গা খুবই পরিচিত এবং পছন্দের একটি টক জাতীয় ফল।কামরাঙ্গা টক বা চাটনি ছোটবেলায় অনেক খাওয়া হতো।নিরামিষ দিনগুলোতে এই ধরনের চাটনি খেতে খুবই ভালো লাগে।চোখের সামনে এরকম লোভনীয় চাটনি দেখলে লোভ সামলানো মুশকিল হয়ে যায়।🤤লোভনীয় রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য তোমাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ মামনি।❤️
বাহ খুবই ইউনিক এবং খুবই সুস্বাদু একটি রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। কামরাঙ্গার প্লাস্টিক চাটনি রেসিপি দেখে জিভে জল চলে এসেছে। এমনিতেই কামরাঙ্গা খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে। এরমধ্যে কামরাঙ্গার চাটনি তা তো সত্যিই অসাধারণ। ধন্যবাদ আপু আপনাকে এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ডাউল দিয়ে ভাত খাবার সময় আমরা এই ধরনের টক জাতিয় আচার বা চাটনি খেয়ে থাকি বেশি খুবই চমৎকার লাগে।আপনি খুব সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
কামরাঙ্গার চাটনি বহু খেয়েছি তবে অনেক দিন থেকে খাওয়া হচ্ছে না।আপনার চাটনিটি চমৎকার লোভনীয় জিভে জল আসার মতো হয়েছে। একদমই ঠিক বলেছেন আপনি এই চাটনি মুখের রুচি ফেরাতে মেডিসিনের মতো কাজ করে।ধাপে ধাপে কামরাঙ্গার চাটনি রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু এই রেসিপিটি গরমের সময় খেতে বেশ ভালোই লাগে। আজকে আপনি কামরাঙ্গার প্লাস্টিক দিয়ে চমৎকার চাটনি রেসিপি করেছেন। যখন মানুষের খাওয়ার মধ্যে রুচি কম এই রেসিপিগুলো খেলে তখন রুচি অনেক বাড়ে। সত্যি আপনার রেসিপিটি দেখে আমার খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। মজার চাটনি রেসিপি অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
কামরাঙ্গার চাটনী কখনও খাওয়া হয়নি।ভর্তা করে খাওয়া হয়েছে। আপনার আচারটি বেশ লাগছে দেখতে। মনে হচ্ছে খেতে অন্য রকম একটা টেস্ট হবে। ধন্যবাদ অন্যরকম একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।