সন্তান হারানোর কষ্ট (পঞ্চম পর্ব)

কেমন আছেন বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


কারণ তার থানাটা হচ্ছে শহরের সদর থানা। এসপি অফিস ডিসি অফিস সব তার থানার এরিয়ার ভেতরে। যার ফলে এখানে ঝামেলা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। অবশ্য সেই কারণে আফসার সাহেব এসপি সাহেবের কাছে কিছু বাড়তি পুলিশও চেয়েছেন। মিটিংয়ে যখন তিনি সবার সাথে জরুরী কথাবার্তা বলছিলেন। তার ভেতরে হঠাৎ করে তার ব্যক্তিগত ফোনটি বেজে উঠলো। তিনি ফোন হাতে নিয়ে দেখেন তার স্ত্রী ফোন করেছেন। কাজের সময় ব্যক্তিগত ফোন আসলে আফসার সাহেব মারাত্মক বিরক্ত হন।


1000010413.png

তিনি ফোন রিসিভ করে তার স্ত্রীকে বললেন আগামী ২ ঘণ্টার ভেতরে আমাকে ফোন দিবে না। যতো যাই হয়ে যাক। এই কথা বলে তিনি ফোন রেখে আবার সবার সাথে তাদের পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলতে লাগলেন। থানার সবার সাথে কথাবার্তা শেষ হলে আফসার সাহেব স্থানীয় সরকার দলীয় সভাপতি কে ফোন দিলেন। ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করলেন চলমান এই ছাত্র আন্দোলন নিয়ে আপনাদের কোন পদক্ষেপ আছে নাকি। তখন সে সভাপতি জানালেন কেন্দ্র থেকে তাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

পুলিশের পাশাপাশি মাঠে থেকে আন্দোলনকারীদেরকে মাঠ থেকে উঠিয়ে দেয়ার জন্য। এই কথাটা শুনে আফসার সাহেব বেশ খুশি হলেন। তিনি চিন্তা করতে লাগলেন কিছু কিছু কাজ যেটা পুলিশ করতে পারবেনা সেটা সরকারদলীয় লোক দিয়ে করানো যাবে। যাইহোক কথাবার্তা বলা শেষ হলে তিনি কিছুক্ষণের জন্য সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাড়িতে চলে গেলেন দুপুরের খাবার খেতে। (চলবে)


আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।



ধন্যবাদ