স্কেচ -২
বড়দের সকলকে আমার প্রণাম। আপনাদের দিন ভাল কাটুক। আজকে আমাদের বাড়িতে সকাল থেকেই খুব চাপ ছিল। আজকে আমাদের কারখানায় বিশ্বকর্মা পুজো ছিল ।তাই আমরা সবাই কারখানায় গিয়েছিলাম ।আমি আজকে বেশ সকালেই ঘুম থেকে উঠেছি। ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার বাবা আর মা কারখানায় আগে থেকেই চলে গেছে।
আমি ঘুম থেকে উঠে দিদিকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না ,কিন্তু দেখলাম তারপর দিদি বাথরুম থেকে বেরোলো। তারপর আমিও স্নান টা সেরে নিয়ে পাশের বাড়ির কানাই কাকার সঙ্গে চলে গেলাম কারখানায়। তারপর আমাদের পুজো হলো ,অঞ্জলি দিলাম। দিয়ে বাড়ি এসে আমি এখন বসে বসে পোস্ট লিখছি। আজকে আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে চলেছি আরও একটা স্কেচ। এই স্কেচ আমার পছন্দের একটি অ্যানিমি ক্যারেক্টরের।
আমি গতকাল যে ছবিটি এঁকেছিলাম আশা করি আপনাদের অনেক ভালো লেগেছে ।তাই আজও আমি ধাপ ধাপে এই স্কেচটি শেয়ার করছি। চলুন শুরু করা যাক,
স্কেচ করতে আমার লেগেছে- মেকানিক্যাল পেন্সিল,একটি নীল পেন ,একটি কালো পেন ও রবার।
লিংক
যেহেতু আমার নিজস্ব কোন ইউটিউব চ্যানেল নেই তাই আমি আমার দিদির একটি চ্যানেল থেকে এই ভিডিওটি পোস্ট করেছি।
প্রথম ধাপ
প্রথম ধাপে আমি মুখের স্ট্রাকচারটা তৈরি করে নিচ্ছি যাতে আমার চোখ কান ও মুখ টি আঁকতে সুবিধা হয়। তারপর আমি আস্তে আস্তে আউটলাইন করে নিচ্ছি। এই সময় আমি পেন্সিল দিয়ে হালকা হালকা করে দাগ দিয়েছি যাতে পরে মুছতে সুবিধা হয়।
দ্বিতীয় ধাপ
ঠিক একই প্রসেসে দ্বিতীয় ধাপে আমি সেই আউটলাইনগুলোর সাহায্যে চোখ ,কান, মুখটি মাপ যোগ করে এঁকে নিচ্ছি।
তৃতীয় ধাপ
তৃতীয় ধাপে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন ,যেহেতু আমি একটি অ্যানিমি ভুত আঁকছি, তাই আমি একটু ভয়ানক করার চেষ্টা করছি। প্রথমে তো চোখের ভুরুর ওপরটা একটু কেমন একটা লাগছে, কিন্তু পরে সেড দেওয়ার পর ঠিকই লাগছিল। আমি এখানে দাঁতগুলো ভয়ঙ্কর করার জন্য ছুচলো মতন ভাব দিয়েছি ।
চতুর্থ ধাপ
চতুর্থ ধাপে আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন অনেক ভয়ানকই হয়েছে। তারপর আমি পেন দিয়ে আউটলাইন টা করে দিয়েছি। কিন্তু ছবিটি নীলপেনটা ইউজ করার জন্য আমার কেমন একটা মনে হচ্ছিল ,তাই আমি পরে কালো পেন দিয়ে তা কভার করে নিয়েছিলাম যদিও।
পঞ্চম ধাপ
তারপর আমি কালো পেন দিয়ে অন্ধকার জায়গাগুলো ভরাট করে দিয়েছিলাম । আর আপনাদের বললামই যে আমার নীল পেইন্টটা ইউজ করার পর কেমন একটা লাগছে, তাই জন্য আবার সেই আউটলাইন গুলোর উপর কালো পেন বোলাতে লাগলাম। বোলানোর পরেই ছবিটা ভালো লাগছিল। তারপর আমি নীল দাগ গুলো রিমুভ করার জন্য ব্ল্যাক এন হোয়াইট ছবি তুলেছি। তারপর বেশ ছবিটি ভালো লাগছে। যেহেতু ছবিটি একটু ডার্ক ডার্ক ভাব হয়েছে এবং ভুতুড়েও ভাব হয়েছে।
ফাইনাল স্কেচ
আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন কত সহজে এত সুন্দর একটা স্কেচ তৈরি হয়ে গেল। যদিও আমি এটা রাতে বসে গতকাল এঁকে ছিলাম। গতকাল আমি, মা, দিদি এবং আমার প্রতিবেশীদের সাথে একটা জায়গায় ঘুরতে গিয়েছিলাম, তাই বাড়ি আসতে একটু দেরি হয়ে গেছিল।। রাতে দিদি যখন খুব জেদ করলো। তখন আমাকে ছবি আঁকতে বসতেই হল।
আমি মোটামুটি ১৫ মিনিট এর মধ্যে এই ছবিটি এঁকেছি। যখন ছবি আঁকা শেষ হলো তখন রাত এগারোটা পার হয়ে গেছে। আমি আজকেও দিদিকে অনেক থ্যাঙ্কস জানাই ।ও আমার ভিডিওটা খুব সুন্দর করে এডিট করে দিয়েছে। তবে দিদির এই ছবিটা একদম ভালো লাগেনি। ও বলেছে ও রাতে ঘুমোতে পারবে না, এই ছবি এত ভয়ানক হয়েছে। তবে আমার এই ছবিটা এঁকে কিন্তু খুব মজা লেগেছে। আপনাদের কেমন লাগলো আপনারা অবশ্যই আমাকে জানাবেন। আবার পরে একটি ছবি নিয়ে আসবো।
খুব সুন্দর হয়েছে তোমার ছবি আঁকাটা। আরো ভালোভাবে এরকম করেই ছবি আঁকতে থাকো। এইভাবে আরো সুন্দর সুন্দর ছবি আঁকতে থাকো।
Thank you বৌদি।
তোমার অংকন করা ভূতের ক্সেচটা খুব সুন্দর হয়েছে, এবং ধাপেধাপ অঙ্কনের সম্পূর্ণ প্রসেসটা আমাদের সাথে শেয়ার করেছ, বুঝাই যাচ্ছে তোমার ভিতরে অনেক প্রতিভা রয়েছে, অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর আর্ট পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনার এই ফটোগ্রাফিটি একটি হাস্যকর তবুও কাছে খুবই ভালো লেগেছে।আপনার ছবি আকার প্রতিভা অন্যরকম। খুব সুন্দর লেখাটা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ