আসসালামু আলাইকুম
প্রিয়, পাঠকগণ,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশাকরি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি।

জুমার দিন সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন। বৃহস্পতিবার সূর্যাস্তের পর থেকে শুক্রবার সূর্যাস্ত পর্যন্ত জুমার দিনের পরিধি।জুমার দিন শ্রেষ্ঠ দিন, এই দিনকে সপ্তাহের ঈদের দিন বলা হয়। ইসলামে এ দিনের মর্যাদা রয়েছে। সব দিনের মধ্যে জুমাবারকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন আল্লাহ তাআলা।

মুসলিম দেশগুলোতে দেখা যায়। মানুষ হাজার ব্যস্ত থাকলেও জুম্মার দিনে সকল কাজ ফেলে রেখে ছুটে আসে মসজিদের দিকে। আমাদের বাংলাদেশ দিনকে সরকারি ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এই দিনে বাংলাদেশের সকল অফিস আদালত বন্ধ থাকে।

মানুষ যত ব্যস্তই থাকুক না কেন, জুমার আযান দিলে, গোসল করে, সুন্দর জামা কাপড় পড়ে, পরিপাটি হয়ে ছুটে আসে মসজিদের দিকে। প্রতিটি জুমার দিনে মসজিদের ইমাম সাহেব জাতির উদ্দেশ্যে গঠনমূলক কথা বলে থাকে। যার মাধ্যমে সাধারণ মুসল্লিগণ অজানা অনেক কিছু জানতে পারে।

সাপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় জুমার দিনে মসজিদে মুসল্লিদের ঢল থাকে অতিরিক্ত। অন্যান্য ওয়াক্তে দেখা যায়, মসজিদের বিভিন্ন জায়গায় ফাঁকা থাকে। কিন্তু জুমার দিনে মসজিদ কানায় কানায় পূর্ণতা পায়। এমনও দেখা যায় ভিতরে জায়গা না হওয়ার কারণে মানুষ বাহিরে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করছে।

আমাদের দেশের মসজিদগুলো খুব সুন্দরভাবে সাজানো থাকে, মসজিদের আশেপাশে বিভিন্ন ধরনের ফুল গাছ লাগিয়ে মসজিদের সৌন্দর্যকে আরো বাড়িয়ে দেওয়া হয়।

অতঃপর নামাজ শেষে দেখা যায় দলে দলে মুসল্লীরা সব বের হয়ে আসছে। এগুলো দেখে মনে হয় যেন একটি ঈদের দিন নামায শেষ করে সবাই কাধে কাধ মিলিয়ে বের হয়ে আসছে।

মুসলিম উম্মাহের সাপ্তাহিক আনন্দ বয়ে নিয়ে আসে জুমার দিনে। এই দিনে মানুষ সুন্দরভাবে সেজেগুজে মসজিদের দিকে আসে। এবং বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের ভালো-মন্দ রান্না করা হয়। এটা যেন এক ঈদের আনন্দের মতন একটি আনন্দের দিন মুসলিম উম্মাহের ।।

ধন্যবাদ